হায়দরাবাদের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, ওই দুটি ভিডিওতে স্লোগানগুলি আলাদা করে লাগানো হয়েছে ৷ ভিডিওগুলি রেকর্ড করার সময় এরকম কোনও স্লোগান দেওয়া হয়নি ৷ কার্যতই এই রিপোর্টের পর বিপাকে দিল্লি পুলিশ ৷ এর দু’দিন আগেই ‘দেশদ্রোহ’-এর সংজ্ঞা নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের তীব্র ভৎর্সনার মুখে পড়েছিল দিল্লি পুলিশ ৷ যার জেরে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে সরব হওয়া মোদি সরকার সুর নরম করতে বাধ্য হন ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, সরকার দেশদ্রোহের আইনে সংশোধন আনার কথা ভাবছে ৷ সংশোধন নিয়ে কেন্দ্রীয় ল কমিশন পর্যালোচনা করবে বলেও জানান তিনি ৷
advertisement
দেশদ্রোহীতার স্লোগান তুলেছেন কানহাইয়া এই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ একই মামলায় উমর খালিদ ও অনির্বান ভট্টাচার্যকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে বহু ভিডিও পেশ করে পুলিশ ৷ যাতে শোনা গিয়েছে কাশ্মীর, মণিপুরের ‘আজাদি’ ছিনিয়ে নিতে চেয়েছেন অভিযুক্তরা ৷ কিন্তু হায়দরাবাদের ওই ল্যাবের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বহু অডিও, ভিডিও ক্লিপে আলাদা করে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই দৃশ্যের সঙ্গে কথা এবং লিপ সিঙ্ক মিলছে না ৷ এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর নতুন মোড় এল জেএনইউ ইস্যুতে ৷ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ বুধবার কানহাইয়ার জামিনের আবেদনের শুনানিতে এই রিপোর্ট কী প্রভাব ফেলে এখন সেটাই দেখার ৷