এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধি সহ দেশের বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিযোগ করছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷
এ দিন দিল্লিতে এক সর্বদলীয় বৈঠকে অবশ্য বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিরোধীদের এই আশঙ্কাকে অমূলক বলেই দাবি করলেন৷ যদিও শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি যে ভারতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক, সেকথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ রইল', পদ্মা সেতু পরিদর্শনে মমতাকে চিঠি শেখ হাসিনার
সর্বদল বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী উপস্থিত ছিলেন৷ অন্যদিকে বিরোধীদের তরফে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম এবং মনিকাম টেগোর, তৃণমূলের সৌগত রায়, আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, ন্যাশনাল কনফারেন্সের শরদ পাওয়ার, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এবং ডিএমকে-র টি আর বালু এবং এম আবদুল্লাহরা উপস্থিত ছিলেন৷
বিরোধীদের উদ্দেশে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'শ্রীলঙ্কায় যা ঘটছে তা অনেক দিক দিয়েই নজিরবিহীন৷ এটা অত্যন্ত গুরুতর একটি সঙ্কট৷ এই কারণেই আমরা এ বিষয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছি৷' এস জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'যেহেতু আমাদের একেবারে প্রতিবেশী একটি দেশে এই পরিস্থিতি হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবে তার পরিণতির জের আমাদের উপরে এসে পড়ারও আশঙ্কা থাকে৷'
আরও পড়ুন: লঙ্কাকাণ্ডে ছাই ৪০০০ বই, ১২৫ বছরের পিয়ানো! বিক্রমাসিংহের পোড়া বাড়ি যেন ধ্বংসস্তূপ!
যদিও বিদেশমন্ত্রী দাবি করেছেন, কিছু ভুল তথ্য তুলে ধরে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের তুলনা টেনে একই ধরনের সঙ্কট এই দেশেও আসতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে কোনও কোনও মহল থেকে৷ শ
শ্রীলঙ্কা গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে৷ দেশের বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে৷ ফলে খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যকীয় জিনিসও আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না৷ এই অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকেই শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত দেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট জরুির অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন৷
এই অবস্থায় তামিলনাড়ুর দুই দল এআইডিএমকে এবং ডিএমকে সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন শ্রীলঙ্কার সঙ্কট নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছিল সরকারের কাছে৷ পাশাপাশি, অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভারত যাতে শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করে, সেই দাবিও তুলেছে দক্ষিণের এই দুই দল৷