শনিবার ওই উড়ানে বোর্ডিং চলাকালীনই এই ঘটনাটি ঘটে গিয়েছিল। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রথমে ওই মহিলা দুই যাত্রীর উপর চড়াও হন। ওই দুই যাত্রী সম্পর্কে আবার ভাই-বোন। তাঁরা নিজেদের নির্ধারিত আসনেই বসেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ট্রেনে উন্নত ওয়াটার লেভেল মনিটরিং সিস্টেম চালু উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের
এই ঘটনার পরে বিমানকর্মীরা সাহায্যের জন্য সিআইএসএফ-দের ডেকে পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কনস্টেবল প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি এবং সোনিকা পাল। কিন্তু তাতেও থামানো যায়নি অভিযুক্ত ওই মহিলাকে। এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেখানে পৌঁছলে তাঁর উপর চড়াও হন ওই মহিলা। এমনকী তিনি কামড়েও দেন ওই সিআইএসএফ কনস্টেবলকে।
advertisement
পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে যায়। পরিস্থিতি যাতে ঠিক থাকে, তার জন্য উড়ান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে। এরপর বিমানবন্দর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই দুজনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই মহিলা একজন গৃহবধূ। আর তাঁর স্বামী পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। পুণের বাসিন্দা ওই দম্পতি দিল্লিতে এক আত্মীয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। এক সিআইএসএফ আধিকারিকের মতে, ওই মহিলাকে দেখে মনে হচ্ছিল যে, তিনি তাঁর পরিবারে জরুরিকালীন অবস্থার কারণে গুরুতর যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। ওই অফিসারের কথায়, দেখে মনে হচ্ছিল যে, “জরুরিকালীন অবস্থার কারণে মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সহযাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলার পরে আসলে বিমানচালক তাঁকে নিয়ে বিমান ওড়াতে রাজি ছিলেন না। তিনি অত্যন্ত হিংস্র হয়ে ওঠায় বিমান সংস্থার সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছল।”
সিনিয়র ইনস্পেক্টর অজয় সঙ্কেশরী বলেন যে, “আমাদের তদন্তে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই মহিলাকে। অর্থাৎ তদন্তকারী অফিসার যখনই সমন পাঠাবেন, তখনই তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।” সঙ্কেশরী আরও বলেন যে, বিমানকর্মী ও সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের বিবৃতি দিয়েছেন। আর অভিযুক্ত যাত্রীরা পরে অবশ্য দিল্লি পাড়ি দিয়েছেন।