১১ বছরের ওই বাঘিনিকে প্রথম দেখতে পাওয়ার গিয়েছিল ২০১৪ সালে৷ তার পর থেকে সে ওই অভয়ারণ্যেরই বাসিন্দা৷ মাস কয়েক আগে চারটি ফুটফুটে ছানার জন্ম দিয়েছিল সে৷
ওই বাঘিনির নিথর দেহের পাশেই মিলেছে একটি গরুর অর্ধেক খাওয়া মৃতদেহ৷ ওই দেহতে বিষ ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ ওই গরুর মাংস খেয়েই বাঘিনির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ওই গরুর মাংস খেয়ে সে তার ছানাদের কাছেই ফিরছিল৷ কিন্তু, ততক্ষণে ওই বাচ্চাগুলোও বিষের প্রভাবে মারা গিয়েছে৷
advertisement
৫টি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরিবেশবিদ জোসেফ হুভার বলেছেন, ‘‘ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট কী করছিলেন? মাসের পর মাস বনরক্ষক গ্রামবাসীদের টাকা দেওয়া হয় না৷ তারা এটা বন দফতরকেও জানিয়েছে৷ তারপরেও ওরা জঙ্গলে ঢুকে জঙ্গল পাহারা দেবে?’’
কর্ণাটকের বন, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ মন্ত্রী ঈশ্বর বি খাণ্ড্রে ঘটনার গুরুত্বের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘‘প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ওই বাঘেদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা পোস্ট মর্টেমের পরেই জানা যাবে৷ আমি রাজ্যের সব জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি৷’’ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে৷ স্থানীয়রা মনে করছে চোরাশিকারিরাই বিষের ফাঁদ পেতে বাঘেদের খুন করেছে৷