নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চার মহিলার শরীরে মিলেছে জিকা ভাইরাস। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এদের মধ্যে দু'জন তিরুঅনন্তপূরমের অনয়ারার বাসিন্দা। এই অঞ্চলের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। আরেক সংক্রামিত পূর্ব ফোর্টের কুন্নুকুঝির বাসিন্দা। আলাপ্পুঝার ন্যাশনাল ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট থেকে সমস্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরই সঙ্গে আরও ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেগুলি নেগেটিভ এসেছে।
advertisement
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'তিরুঅনন্তপূরমের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চারটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। একটি নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ জন।'
করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও প্রথম সন্ধান মিলেছিল কেরলে, এবার সেই একই রাজ্যে সন্ধান পাওয়া গেল জিকা ভাইরাসের। গত ৯ জুলাই, ২৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতীর দেহে ওই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাড়ি পারাস্সালা এলাকায়। তিরুবনন্তপুরমের একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। জিকা হল একটি মশা বাহিত রোগ। মশার কামড় থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এর বাহক এডিস মশা। দিনের বেলায় সাধারণত এই মশা কামড় দেয়। চিকুনগুনিয়া রোগের মতো একই উপসর্গ দেখা যায় জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে। সাধারণত জিকা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভয়াবহ শারীরিক কোনও ক্ষতি হয় না। তবে যদি কোনও গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে ইনফেকশন হতে পারে। যৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে ও রক্তের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়ানোর কাজ চলছে। রাজ্যে সরকারি মোট ২৭টি ল্যাব থেকে জিকা ভাইরাসের পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের দিকে নজর দিতে। যাঁদের সামান্য জ্বর, র্যাশ, শরীরে ব্যথা দেখা দিচ্ছে, তাঁদেরই জিকার পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।