TRENDING:

দিল্লি জুড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজে ৫০০ কোটি টাকার বেশি বাঁচাল কেজরিওয়াল সরকার

Last Updated:

রাজধানী জুড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজে বরাদ্দ অর্থের মধ্যে থেকে ৫০০ কোটির বেশি অর্থ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে সরকার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: দেশের নানা প্রান্তে রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার-সহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজে প্রায়শই দুর্নীতির অভিযোগে ওঠে। অস্বস্তিতে পড়তে হয় ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিদের। এক্ষেত্রে দিল্লি সরকার যেন একটু ভিন্ন পথের পথিক। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে AAP সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাজধানী জুড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজে বরাদ্দ অর্থের মধ্যে থেকে ৫০০ কোটির বেশি অর্থ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
advertisement

এই বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট বার্তা, একাধিক জায়গায় জনগণের স্বার্থে যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেখানেই বরাদ্দ অর্থ থেকে কয়েকশো কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। জনগণের অর্থ বাঁচাতে ভবিষ্যতেও এভাবেই চেষ্টা চালাবে কেজরিওয়ালের সরকার। সম্প্রতি শাস্ত্রী পার্ক (Shastri Park) থেকে সিলমপুর (Seelampur) ফ্লাইওভারের কাজ হচ্ছিল। এই প্রোজেক্টে মোট ৩০৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ২৫০ কোটি টাকায় কাজ হয়ে যায়। বেঁচে যায় ৫৩ কোটি টাকা। সব চেয়ে বড় বিষয়টি হল, অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে পুরো কাজ হয়েছে। এর জেরে প্রায় দেড় লক্ষ নিত্যযাত্রী উপকৃত হয়েছেন। অন্য দিকে, মধুবন চকে (Madhuban Chowk) ফ্লাইওভার ও করিডোর তৈরি নিয়ে ৪২২ কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে ২৯৭ কোটি টাকায় পুরো কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। প্রায় ১২৫ কোটি টাকা বেঁচে যায়।

advertisement

এগুলি ছাড়াও আলাদা আলাদা তিনটি প্রকল্পে আরও ৩০০ কোটি বাঁচিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। সম্প্রতি এ নিয়েও একাধিক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মঙ্গলপুরী (Mangolpuri) থেকে মধুবন চক (Madhuban Chowk) প্রোজেক্টে ৪২৩ কোটি টাকার বাজেট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ৩২৩ কোটি টাকাতেই প্রোজেক্টের কাজ শেষ হয়ে যায়। ১০০ কোটি টাকা বেঁচে যায়। মীরা বাগ (Meera Bagh) থেকে বিশাখাপুরী (Vikaspuri) করিডোরের কাজের জন্য ৫৬০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু ৪৬০ কোটি টাকাতেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এর জেরে আরও ১০০ কোটি টাকা বেঁচে যায়। একই ভাবে প্রেম বড়াপুলা (Prem Barapula) থেকে আজাদপুর (Azadpur) করিডোর তৈরির কাজে ২৪৭ কোটি টাকার বাজেট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ১৩৭ কোটি টাকায় করিডোরের কাজ সম্পূর্ণ হয়। অর্থাৎ প্রায় ১১০ কোটি টাকা বেঁচে যায়।

advertisement

এর পাশাপাশি ছোট ছোট বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রেও কয়েক কোটি টাকা বাঁচানো গিয়েছে। সম্প্রতি এমনই দাবি করা হয়েছে AAP সরকারের তরফে। এখানেও প্রকল্পগুলির বিস্তারিত খসড়া তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে জগৎপুর চক (Jagatpur Chowk) ফ্লাইওভার প্রোজেক্টে ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ৭২ কোটি টাকাতেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। বেঁচে যায় ৮ কোটি টাকা। একই ভাবে ভালস্বা (Bhalswa) ফ্লাইওভার তৈরির কাজে ১৬ কোটি, বুরারি (Burari) ফ্লাইওভারের কাজে ১৫ কোটি, মুকুন্দপুর চক (Mukundpur Chowk) ফ্লাইওভারের কাজে ৫ কোটি ও ময়ূর বিহার (Mayur Vihar) ফ্লাইওভার প্রজেক্টের কাজে ৫ কোটি টাকা বাঁচানো গিয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্রয়োজন পড়বে না পুকুর বা জলাশয়ের দুরন্ত পদ্ধতিতেই মাছের ব্যবসা করলেই আয় হবে লক্ষাধিক
আরও দেখুন

বলা বাহুল্য, কেজরিওয়ালের এই উদ্যোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়া পড়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
দিল্লি জুড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজে ৫০০ কোটি টাকার বেশি বাঁচাল কেজরিওয়াল সরকার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল