করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের জেরে গত দু মাস ধরে বন্ধ ছিল ঘরোয়া বিমান পরিষেবা৷ আজ থেকে ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে বিমান৷ এ দিন প্রথম বিমানে ফিরলেন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান, সেনাবাহিনীর সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী ও পরিযায়ী কর্মীরা৷ এঁরা কেউই রেলের স্পেশাল ট্রেনে টিকি না পাওয়ায় অগত্যা বেশি ভাড়া দিয়ে প্লেনের টিকিট কাটেন৷
advertisement
অনেকেরই অভিযোগ, প্রায় শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে তাঁরা বিমানের টিকিট কেটেছেন৷ কলেজ ছাত্র সন্দীপ সিং সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, বাসের টিকিট পাননি৷ ট্রেনও ভর্তি৷ দিল্লি থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে দেরাদুন ফিরছেন৷ তাঁর কথায়, 'গত তিন মাস ধরে পিজি-তে আটকে ছিলাম৷ মা-বাবা খুব চিন্তা করছিল৷ প্রথম বিমান ধরে বাড়ি ফিরছি৷'
গত ২৩ মার্চ দিল্লিতে অফিসের কাজে গিয়েছিলেন পটনার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আমির আফজল৷ লকডাউনে আটকে থাকেন৷ ইদে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান৷ তাই বেশি ভাড়া দিয়েও টিকিট কেটেছেন৷ তাঁর কথায়,'সহকর্মীর সঙ্গে মহীপালপুরের একটি হোটেলে ছিলাম৷ প্রতিদিন ৯০০ টাকা করে ভাড়া৷ ট্রেনের টিকিট পাইনি৷' আফজলের বাড়ি বেগুসরাইয়ে৷
কলকাতায় ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা এখনই চালু করতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২৮ মে থেকে চালু হতে পারে৷ মন খারাপ সেনা জওয়ান নায়েক সতীশ কুমারের৷ তিনি কলকাতা-গামী বিমানের টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু বাতিল হয়ে গিয়েছে৷ তাঁর কথায়, '৬টার ফ্লাইট ছিল৷ আম্বালা থেকে বাসে করে এয়ারপোর্ট এসেছি মাঝরাতে৷ এসে শুনলাম ফ্লাইট ক্যানসেল৷'
একই অবস্থা বর্ধমানের বাসিন্দা সান্তু মণ্ডলের৷ তাঁর ২ বছরের মেয়েকে দেখার জন্য ব্যাকুল৷ ভাইয়ের সঙ্গে রাত ১টায় বিমানবন্দরে পৌঁছে যান৷ গিয়ে শোনেন টিকিট বাতিল৷