রবিবার পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি সঙ্গে বৈঠক করেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। এই নিয়েই তাঁকে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর যুক্তি, "মিমের এসব করে কোনও লাভ নেই। এখানে মেরুকরণের রাজনীতি চলে না, এখানে বিবেকানন্দের বাংলা।" অমিত শাহর সঙ্গে মিটিং করেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, এখানে সাম্প্রদায়িক বনাম বিনা সাম্প্রদায়িক লড়াই বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম।
advertisement
তিনি বহিরাগত তত্ত্ব সামনে এনে আরও বলেন, "কেউ হায়দরাবাদ থেকে এসে আল্লা হু আকবর শেখাবে, কেউ উত্তরপ্রদেশ থেকে এসে জয় শ্রীরাম শিখাবে। আমরা বলি জয় মা কালী, আসাল্লাম আলেকুম। এই বাংলা বিবেকানন্দের শরৎচন্দ্র বাংলা, আমরা এখানে একসঙ্গে থাকব। অমর্ত্য সেনকে জমি চোর অপমান করছে ওরা, এর আগে আমাদের এত অপমান কোনও দিন হয়নি।
শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর তোপ, "আজকের মিরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না, আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মারতে পারবেন না।"
নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর যুক্তি, মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারী ৫ বছরের জন্য পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে সাধারণ মানুষেরা আছেন। সভায় উপস্থিতি তার প্রমান।
এদিনের এই সভায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা খাঁ, মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান ও কান্দি পৌরসভার প্রশাসক অপুর্ব সরকার সহ জেলার তৃণমূল নেতৃত্বরা । জেলা পরিষদের সদস্য ও মফিজউদ্দিন মন্ডলের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করলেন নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। প্রসঙ্গত, এই মফিজউদ্দিন মন্ডলের স্মরণ সভাকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী উদ্যোগে স্মরণ সভা হয়েছিল। রবিবার কুলির জনসভা শেষ করে মাড়গ্রাম হাই মাদ্রাসা স্কুলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রয়াত মফিজউদ্দিন মন্ডলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।