পুনেতে একটি কোম্পানির কর্মীদের বহনকারী মিনিবাসে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হিঞ্জেওয়াড়ি আইটি পার্ক এলাকায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় আরও দশজন দগ্ধ হয়েছেন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
advertisement
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৭:৩০ মিনিট নাগাদ হিঞ্জেওয়াড়ি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের কাছে, আইটি পার্কের ফেজ-১ অঞ্চলে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মিনিবাসটিতে পুনের ‘ব্যোমা গ্রাফিক্স’ (Vyoma Graphics) কোম্পানির ১৪ জন কর্মী ছিলেন।
হিঞ্জেওয়াড়ি থানার ইন্সপেক্টর কনহাইয়া থোরাট বলেন, “বাস চলার সময়ই চালকের আসনের কাছে আগুন লাগে, এতে আতঙ্কিত হয়ে চালক বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন। আটজন যাত্রী কোনও রকমে বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, কিন্তু চারজন বের হতে না পারায় আগুনে পুড়ে মারা যান। আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করছি।” পুলিশ আরও জানিয়েছে, চালক লাফিয়ে পড়ার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা খায়।
সব আহত ব্যক্তিদের হিঞ্জেওয়াড়ির রুবি হল ক্লিনিকের জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের সিওও ড. সুধীর রাই ও সিইও বেহরাম খোদাজি জানিয়েছেন, “আশঙ্কাজনক দু’জনের শরীরের ৪০ শতাংশের বেশি অংশ দগ্ধ হয়েছে। এক ব্যক্তির ২০ শতাংশ এবং অন্য একজনের ৫ শতাংশ বার্ন হয়েছে, তবে তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন। এছাড়া, এক ব্যক্তি সামান্য আহত হলেও তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন। আমরা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করছি।”
আরও পড়ুন: বোর্ডিং স্কুলের সুইমিং পুলে ডুবে মৃত্যু দিল্লির ১৩ বছরের ছাত্রের, কী ভাবে ঘটল জানুন…
এই দুর্ঘটনার পর আইটি কর্মীদের ইউনিয়ন দাবি করেছে যে, কর্মীদের বহনকারী যানবাহনগুলোর সঠিকভাবে নিরাপত্তা অডিট হওয়া উচিত।
‘ফোরাম অব আইটি এমপ্লয়িজ’-এর পবনজিৎ মানে বলেন, “এই ধরনের বাস চালকদের জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর উপযুক্ত দক্ষতা নেই। আগে কোম্পানিগুলো নিজেদের যানবাহনে কর্মীদের পরিবহন করত, যেখানে রক্ষণাবেক্ষণের বিশেষ নজর দেওয়া হত। কিন্তু খরচ কমাতে অনেক প্রতিষ্ঠান এখন তৃতীয় পক্ষের পরিবহন পরিষেবার ওপর নির্ভর করছে, যার ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহেলিত থেকে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কর্মীরা বেশিরভাগই জানেন না, তাদের ব্যবহৃত যানবাহনে জরুরি নির্গমন পথ কোথায় রয়েছে বা আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কেমন রয়েছে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা।”
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।