ঠিক এমনটাই ঘটেছে হোয়াইটফিল্ডের কাডুগোডি মেন রোডের একটি বাড়িতে। সেখানে ফ্রিজে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথেই, বাড়িতে উপস্থিত তিন যুবতী তৎক্ষণাৎ তা নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে তারা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাড়ির ভেতরের প্রায় ৮০ শতাংশ জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বসের সঙ্গে স্ত্রী-এর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ! বোম দিয়ে বসের গাড়ি উড়িয়ে দিলেন ব্যক্তি…
আগুন থেকে ক্ষতি হয়নি, কিন্তু জিনিসপত্র সব পুড়ে গিয়েছে! ফ্রিজে আগুন লাগার ফলে বাড়িতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে, সুখবর হল এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি হয়নি। বাড়িতে উপস্থিত তিন মহিলাই নিরাপদে ছিলেন, কিন্তু তাদের সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে তাদের কাপড়, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, এবং অনেক অন্যান্য জিনিস অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই ঘটনাটি কাডুগোডি পুলিশ থানার এলাকায় নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ফায়ার ব্রিগেড কিভাবে আগুন নেভালো? আগুন লাগার পর ফায়ার ব্রিগেডের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিছু সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা সঠিক সময়ে পৌঁছে তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভাতে সক্ষম হন। যদি তারা সময়মতো না পৌঁছাতেন, তাহলে ক্ষতি আরও বেশি হতে পারত।
ফ্রিজের ভূমিকা কি ছিল? বাড়িতে এই সেকেন্ড হ্যান্ড ফ্রিজ ছিল, যা যুবতীরা দুই বছর আগে কিনেছিলেন। এই ফ্রিজে আগুন লাগার পর পুরো বাড়ির পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে যায়। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয় যে পুরোনো জিনিসগুলি ভালোভাবে পরীক্ষা করে তবেই ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রে আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: ইনসিওরেন্সে এক কোটি টাকা! লোভে নিজের বোনকে খুন ব্যক্তির, জানুন পুরোটা…
গাড়ি এবং বাইকেও আগুন লেগেছে! বাড়িতে আগুন নেভানোর পর, কয়েক ঘণ্টা পরে লালবাগ মেট্রো স্টেশনের কাছে আরেকটি ঘটনা ঘটে। সেখানে একটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকও এই আগুনের কবলে পড়ে এবং পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনাটি বাসবনগুড়ি ট্রাফিক পুলিশ থানার এলাকায় ঘটেছে।
আগুন লাগার পর কি হল? এই ঘটনাতেও কোনো প্রাণহানি হয়নি, কিন্তু দুটি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। এই ঘটনা থেকেও বোঝা যায় যে যানবাহন এবং অন্যান্য জিনিসের নিয়মিত পরীক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কতটা জরুরি।
পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেড তদন্ত করছে। দুই ঘটনার পর পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেড দল তদন্ত করছে যে আগুন লাগার আসল কারণ কি ছিল। এর ফলে আশা করা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।