অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়া’ নামের অপব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থে। অন্যদিকে, বম্বে হাইকোর্টের আইনজীবী এবং বিজেপি নেতা আশুতোষ দুবে বিরোধীদের জোটের INDIA নামকরণের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন । তাঁর যুক্তি, দেশের নাম ব্যবহার করে আদতে দেশের অপমান করা হচ্ছে। যদি এই জোট হারে তাহলে মানুষ বলবে, ইন্ডিয়া হেরেছে। যা দেশের পক্ষে অবমাননাকর। এই জোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
advertisement
জোটের নাম INDIA দেওয়ার পাশাপাশি, তৈরি করে ফেলা হয়েছে ট্যাগ লাইন। তাতে বলা হয়েছে ‘জিতেগা ভারত’। গত ২৩ জুন পটনার বৈঠকের পরে গত মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ এই বৈঠকেই নামকরণ করা হয় নতুন বিরোধী মঞ্চের৷ নাম হয়, I.N.D.I.A অর্থাৎ, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স৷ নাম প্রস্তাব করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে প্রথমে সায় দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন৷ এর পর একে একে মেলে সম্মতি৷
তবে মমতার প্রস্তাবিত ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স’-এর ‘ডেমোক্র্যাটিক’ শব্দটি বদলে ‘ডেভলপমেন্টাল’ করার প্রস্তাব দেন রাহুল গান্ধি৷ সেই প্রস্তাবে সম্মতও হন সকলে৷ এই ঘটনায় দীর্ঘ ১৯ বছরের পরে ভারতীয় রাজনীতি থেকে ধুয়ে মুছে গেল ইউপিএ৷
তবে সূত্রের খবর, এই ইন্ডিয়া নামকরণ খুব একটা মনে ধরেনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোট-যজ্ঞের অন্যতম হোতা নীতীশ কুমারের৷
সূত্রের খবর, বৈঠকে নীতীশ কুমার বলেছিলেন, বিরোধী জোটের নাম কী করে ইন্ডিয়া হতে পারে৷ উপরন্তু, এতে বিজেপি জোটএনডিএ-র অক্ষরগুলিও রয়েছে৷ ইন্ডিয়া মেন ফ্রন্ট বা ইন্ডিয়া মেন অ্যালায়েন্সের মতো নাম প্রস্তাব করেছিলেন নীতীশ৷ তবে শেষমেশ বাকিরা ইন্ডিয়ার পক্ষে রায় দেওয়ায় নীতীশ বলেন, ‘‘যদি সবাই রাজি থাকে, তাহলে ঠিক আছে৷’’