গান্ধীনগরের আদিবাদা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ অভিযোগ, তল্লাশি চালানোর নাম করে ওই তিন নেতা ওই গ্রামেরই এক মহিলার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন ৷ এরপর ওই বাড়ি থেকে দু প্যাকেট অ্যালকোহল উদ্ধার করেন ওই তিন নেতা ৷ আর সেই নিয়েই বাড়ির লোকজনকে অকারণে ধমকান ওই তিন নেতা ৷ এমনটাই অভিযোগ উঠেছে জিগনেশ, অল্পেশ এবং হার্দিকের বিরুদ্ধে ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ৷ যদিও ওই মহিলার দাবি, প্রবীণ ভার্দব নামে এক ব্যক্তি ইচ্ছেকৃতভাবে ওই অ্যালকোহল রেখে গিয়েছিলেন ৷
advertisement
আরও পড়ুন: খারিফ শস্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্যবৃদ্ধি ! কৃষকদের রক্তক্ষরণে ব্যান্ড এইড-র মতো, দাবি রাহুলের
ঘটনা হল, বেশ কিছুদিন আগেই গান্ধীনগরে বিষ মদ্যপান করে চারজনের মৃত্যু হয় ৷ এরপর থেকেই নাকি গান্ধীনগরের মদের আসরগুলিতে আচমকা হানা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল এই তিন নেতা ৷ কারণ তাঁদের ধারণা গান্ধীনগরে অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও সেখানে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্রি হয় অ্যালকোহল ৷ সেই কারণেই এমন অতর্কিত হানা চালানোর দাবি জানিয়েছিলেন অল্পেশ, মেওয়ানি এবং প্যাটেল ৷ কিন্তু এই তিন নেতার দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে গান্ধীনগর থানার পুলিশ ৷
ঘটনাটি ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন গান্ধীনগর থানার এসপি ৷ তিনি বলেন, তিন নেতার এই অজুহাত একেবারেই ভিত্তিহীন ৷ গান্ধীনগরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা ৷ কিন্তু তাঁরা কেন এমন একটি অভিযান চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয় গান্ধীনগর থানার এসপি বীরেন্দ্র সিং যাদবের কাছে ৷ তাঁর দাবি, গান্ধীনগরে অ্যালকোহল বিক্রি একেবারেই নিষিদ্ধ ৷ সেক্ষেত্রে ওই তিন নেতার দাবিকে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন যাদব ৷
গান্ধীনগর থানায় এই তিন নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ৷