ফিফা-র প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনো বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর টুর্নামেন্ট ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করছে কানাডা, মেক্সিকো এবং আমেরিকা। এই তিনটি দেশের ১৬টি অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ১০৪টি ম্যাচ হবে’। এরপরই তিনি যোগ করেন, ‘আইকনিক এস্টাডিও অ্যাজটেকা স্টেডিয়ামে হবে উদ্বোধনী ম্যাচ। ফাইনাল হবে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে’।
advertisement
আটলান্টা এবং ডালাসে হবে সেমিফাইনাল। তৃতীয় স্থান নির্ধারনের ম্যাচ হবে মিয়ামিতে। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে লস অ্যাঞ্জেলেস, কানসাস সিটি, মিয়ামি এবং বস্টনে। তিন দেশের মোট ১৬টি শহর জুড়ে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ ম্যাচই হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল আমেরিকা। ফাইনাল হয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলেসের পাসাডেনার রোজ বোলে স্টেডিয়ামে। সে বছর টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচ হয়েছিল পুরনো জায়েন্টস স্টেডিয়ামে। পরে মেটলাইফে ঢোকার রাস্তা তৈরির জন্য এই স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলা হয়।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ, উদ্বোধন ও ফাইনাল ম্যাচের ঘোষণার লাইভ সম্প্রচার হয় উত্তর আমেরিকার একটি টেলিভিশন স্টুডিওয়। সেখানে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা-কমেডিয়ান কেভিন হার্ট, র্যাপার ড্রেক এবং সেলিব্রেটি কিম কার্দাশিয়ান।
নিউ জার্সির হাডসন নদীর তীরে তৈরি করা হয়েছে ৮২,৫০০ আসনের মেটলাইফ স্টেডিয়াম। ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনাল আয়োজিত হয় এই স্টেডিয়ামেই। আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে নিউ ইয়র্কের তুলনা নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। মেটলাইফের ভাগ্যে তাই ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
অ্যাজটেকা-র ইতিহাস: ১৯৭০ এবং ১৯৮৬-এর পর তৃতীয়বার বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট হোস্ট করার দায়িত্ব পেল মেক্সিকোর অ্যাজটেকা। ১৯৭০ এবং ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল এখানে। আমেরিকার স্বাধীনতার ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। রাউন্ড-অফ-১৬-এর ম্যাচ হবে স্বাধীনতা দিবসে অর্থাৎ ৪ জুলাই ফিলাডেলফিয়ায়, যেখানে মার্কিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল।