২০০০ সালে জইশ-এ-মহম্মদ তৈরি করেন মৌলানা মাসুদ আজাহার পরের বছরেই দুটি বড়সড় হামলা। প্রথমে ২০০১ সালের ১ অক্টোবর। শ্রীনগরে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভবনে হামলা চালায় জইশের জঙ্গিরা। আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভূস্বর্গ। প্রাণ হারান ৩৮জন। এর কিছু দিন পরেই, ১৩ ডিসেম্বর আবার কাশ্মীরকে রক্তাক্ত করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার পরে এবার হামলা একেবারে রাজধানীর বুকে, সংসদে। সংসদ হামলারও অন্যতম প্রধান চক্রী ছিলেন জইশের মাথা মৌলানা মাসুদ আজহার। প্রায় দু’দশক পর ভূস্বর্গে আবারও ফিরে এল সেই রক্তাক্ত স্মৃতি ৷ ফেব্রুয়ারি মাসে চারটি এনকাউন্টারে একাধিক জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷ শহিদ হয়েছেন প্রায় ৭ জন সিআরপিএফ জওয়ান ৷ আহত হয়েছেন একাধিক সিআরপিএফ জওয়ান ৷ মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারাও ৷ এছাড়াও রন্তিপোড়, রাজৌরি সেক্টরে জঙ্গি হামলা প্রাণ কেড়েছে সেনা জওয়ানদের ৷
advertisement
গত দু’মাসে ভূস্বর্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৫১ জন ৷ যেখানে জানুয়ারি মাসে প্রাণ হারিয়েছিলেন মাত্র ২ জন সিআরপিএফ জওয়ান ৷ পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে ২০১৮ সালে ৯৫ জন সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন ৷ ২০১৪ সালে শহিদ হয়েছিলেন ৪১জন জওয়ান এবং ২০১৫ সালে ৪৭ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে ৷ তবে, এবার চলতি বছরে শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জন সেনা জওয়ানের ৷