ভয় ধরিয়েছে ফেতাই। সোমবার ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে পূর্ব গোদাবরী উপকূলে। শেষরক্ষা হয়নি। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণ থেকে উত্তরবঙ্গ। এই অকাল বৃষ্টিতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা।
আমন ধান কাটা চলছে উদয়নারায়ণপুরে। অকাল বৃষ্টিতে জমিতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে ধান। ক্ষতিগ্রস্ত কপি ও আলু চাষ।
অসময়ের বৃষ্টিতে হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল, ভগবানগোলা, লালগোলা, জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় নষ্ট হচ্ছে সর্ষে, মসুরির ডাল, ছোলা, কপি- সহ বিভিন্ন ফসল।
advertisement
আলু থেকে ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে বরবটি, বিভিন্ন সবজিতে রোগ-পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। বাড়ছে আশঙ্কা।
নষ্ট হচ্ছে পাকা আমন ধান। অকাল বৃষ্টিতে অঙ্কুর জমে যাচ্ছে ধানে। বৃষ্টি থামলে ধান তুলতে গেলে ঝরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় সবজি চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।
সর্ষে, পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মসুর ডাল ও ফুলের চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা, গোপালনগর, বাগদা ব্লকে।
দশ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। সর্ষে চাষ হচ্ছে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফসল। দেড় লক্ষ হেক্টর জমির তিরিশ শতাংশই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। ব্লক ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করছে কৃষি দফতর।
বৃষ্টিতে পেঁয়াজ চাষেও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা।
ক্ষতির মুখে আলু, ধনেপাতা, পালং শাক, নটে শাক-সহ কাটা ফসল।
অকালবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি রুখতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্টো ছবি জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়িতে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে চাষের উপকারই হবে বলে জানাচ্ছে কৃষি দফতর।
বৃষ্টি কমছে। আশায় চাষিরা। যদিও অকাল বৃষ্টির প্রভাবে ফুল, সবজি, ডালের দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।