যদিও শেষ পর্যন্ত এক ব্যক্তির তৎপরতায় জীবন শেষ করে দেওয়ার পথ থেকে সরে আসে সে। উদ্ধার করে ওই ছাত্রীকে ফরাক্কা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। এর পর ফরাক্কা থানার পুলিশ বাবার সঙ্গে যোগযোগ করে মেয়েকে তার হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন- পুকুর খুঁড়তে গিয়ে এ কী বেরোল মাটির তলা থেকে! গ্রামে-গ্রামে তোলপাড়, তবু অবহেলা
advertisement
থানার পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় মেহেবুবার হাতে।
ফরাক্কার দুর্গাপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম স্বর্নময়ী হাইস্কুলে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী মেহেবুবা খাতুন পড়াশোনায় বরাবরই ভালো। বাবা পেশায় টোটো চালক।
পাঁচজনের সংসার কোনোরকমে চলে। শনিবার সকালে বাবার কাছে প্র্যাকটিক্যালের সরঞ্জাম কেনার জন্য ৫০০টাকা চায়। বাবা অত টাকা দিতে পারবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন।
এর পর দুর্গাপুর থেকে পায়ে হেঁটে সে চলে আসে ফরাক্কা এন টি পি সি মোড়ে। সেখান থেকে বল্লালপুরের কাছে নামে। মেয়েটিকে একা ঘোরাঘোরা করতে দেখে সন্দেহ হয় সাহাবুল সেখের।
তারপরেই তাকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে, সে জীবন শেষ করে দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে এসেছে। ফরাক্কা থানার পুলিশ ওই ছাত্রীকে বুঝিয়ে নিয়ে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর অবস্থা সিকিমে! অবশেষে খোঁজ মিলল ঝাড়গ্রামের বাসিন্দাদের
এর পর বাবাকে ডেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পড়াশোনার জন্য কিছুটা আর্থিক সাহায্য করেন ফরাক্কা থানা কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারকারী সাহাবুল সেখ বলেন, ওই ছাত্রীকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় আমি একটার পর একটা প্রশ্ন করে জানতে পারি বাড়ি থেকে প্র্যাকটিক্যালের টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল।