ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে, নাসিক জেলার দিন্দোরি তালুকের নানাশি গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পিতা সুরেশ বোকেও (৪০) গ্রেপ্তার করেছে এবং তার পুত্রকে আটক করেছে, যার বয়স এখনও নিশ্চিত হয়নি।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ঘটনা! দিনের পর দিন ঝামেলা, স্ত্রীকে ছাদ থেকে ঠেলে দিল স্বামী…
সুরেশ বোক এবং তার পুত্র, গুলাব রামচন্দ্র ওয়াঘমারেকে (৩৫) একটি কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। পরে তারা নানাশি আউটপোস্ট পুলিশ চৌকিতে গিয়ে মৃতের মাথা এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলে জানিয়েছে এক কর্তা।
advertisement
স্থানীয়রা এ ঘটনা জানতে পারার পর অভিযুক্ত পিতা-পুত্রের বাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার পরপরই গ্রামে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী থানার পুলিশ এবং রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (SRPF) সদস্যরা গ্রামে মোতায়েন করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি প্রতিবেশী ছিলেন এবং তাদের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ৩১ ডিসেম্বর তারা একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। এর পরদিন, বোক এবং তার পুত্র ওয়াঘমারেকে হত্যা করে৷ তাদের সন্দেহ ছিল যে, ওই নিহত ব্যক্তি সুরেশ বোকের মেয়েকে ঘর ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেছিল।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ঘন কুয়াশার জেরে বাস ও ট্রাকের মধ্যে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ গুরুতর আহত ১২ জন
নিহতের স্ত্রী মিনাবাই (৩৪) এর করা অভিযোগের ভিত্তিতে পেথ পুলিশ স্টেশনে ভারতীয় দণ্ডবিধি (BNS) এর ১০৩ (১) (হত্যা), ৩৫২ (উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে অপমান), ৩৫১ (২) (৩) (অপরাধমূলক ভীতি) ধারায় মামলা রুজু করা হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “সুরেশ বোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার পুত্রকে আটক করা হয়েছে। উভয়কেই নিরাপত্তার জন্য দিন্দোরি পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হবে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।”