প্রায় এক বছর আগে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী ছাদ থেকে পড়ে আহত হন এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও দুর্ভাগ্যবশত তিনি বাঁচতে পারেননি। এই ঘটনার পর থেকেই ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
advertisement
এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় গোটা গ্রাম শোকে ডুবে গেছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্রের দাবি, স্ত্রী হারানোর পর থেকেই ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি সন্তানদের দুধে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকলকে আড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এবং কী কারণে তিনি এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে। জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম অরবিন্দ কুমার, যিনি বিহিয়া হাইওয়ের কাছে একটি ইলেকট্রনিক্স দোকান চালাতেন। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত গতির বাসের সঙ্গে বাইকের ধাক্কা! ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই শেষ ৫টি তাজা প্রাণ…
ঘটনার দিন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা একটি বিয়েতে গিয়েছিলেন, সেই সময়েই তিনি এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অরবিন্দ ও তার চার সন্তানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার দুই মেয়ে – নন্দিনী কুমারী (১২) ও ডলি কুমারী (৫) এবং ছেলে টোনি (৬) মারা যায়।
বর্তমানে অরবিন্দ ও তার এক সন্তানের চিকিৎসা চলছে। মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই অরবিন্দ গভীর বিষাদে ভুগছিলেন। তারা আশঙ্কা করছেন, মানসিক চাপেই তিনি এই ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় গোটা গ্রাম স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং সকলেই শোকাহত।