বুধবারের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মীরাটের এই সম্প্রীতির ছবি। জানা গিয়েছে, মীরাটের মুসলিম অধ্যুষিত শাহপীর গেটে স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন রমেশ। তাঁর ছেলে চন্দ্রমৌলি মাথুর জানিয়েছেন, 'বাবার খাদ্যনালীতে টিউমার ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চিকিত্সা চলছিল। মঙ্গলবার মারা যান। দাদা দিল্লিতে থাকায় লকডাউনের জেরে ফিরতে পারেননি। লকডাউনে কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসতে পারেননি। এই সময় প্রতিবেশীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাবার দেহ নিয়ে যান শ্মশানে।' সামাজিক দূরত্ব মেনে শেষকৃত্যের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে এদিন।
advertisement
শাহপীর গেটের কাউন্সিলর মহম্মদ মোবিন জানিয়েছেন, 'এখন এমন একটা সময়, যখন আমাদের সবার পাশে দাঁড়ানো উচিত। মানবতার পরিচয় দেওয়া উচিত। মুসলিমরা রোজার উপোষ সত্ত্বেও করোনার ভয়কে দূরে সরিয়ে পুরোহিতের পরিবারের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি খুব খুশি।' এলাকারই এক বাসিন্দা কৃতি ভূষণ বলেন, "শুধু আমরাই নয়, আমাদের পূর্বপুরুষরাও এখানে এভাবেই স্কসঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। আমাদের এই সংস্কৃতি ১০০ বছরের।"
