২০২১ -এর বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাত ভাবে মনে করা হচ্ছে, নেহাত এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন রাকেশ টিকায়েত। তবে এর পিছনে অন্য কোনও সমীকরণ আছে কিনা তা নিয়েও যথেস্ট জল্পনার অবকাশও থাকছে।
ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গে জোড়া কৃষক মহা পঞ্চায়েতের আয়োজন করেছিলেন পাঞ্জাবের কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত। কলকাতা এবং নন্দীগ্রামে তিনি জোড়া সভা করেন। সে সময় রাকেশের সঙ্গে ছিলেন সমাজকর্মী মেধা পাটেকর ও অন্য অনেকে। প্রথম থেকে জুড়ে ছিলেন সারা ভারত কৃষকসভার সম্পাদক হান্নান মোল্লাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সর্বাত্মক ভাবে কৃষি আন্দোলনের সমর্থন করে এসেছেন প্রথম থেকে। কিন্তু অনেকেই ধারণা করেছেন, এই আন্দোলন বামঘেঁষা।
advertisement
এদিকে ভোটের ফলে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে সিপিএম। অন্য দিকে সর্বভারতীয় ভাবেই মোদি বিরোধী তার মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব বহুগুণ বেড়েছে। কৃষক আন্দোলনকারীদেরও ফের চাগিয়ে দিতে পারে তাঁর ভোকাল টনিক। সব মিলিয়েই তাই কৃষক আন্দোলনের এক বছরে দাঁড়িয়ে টিকায়েতের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তার মান্যতার কথাই প্রমাণ করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের মুখে বারংবার বলেছেন এখন বাংলাটা দেখছি পরে দিল্লি টা দেখে নেব। রাকেশ টিকায়েত কি আসলে এমনটাই বোঝাতে চাইছেন যে দিল্লি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে, এসব নিয়েই এখন জল্পনা।