সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই মুলতুবি হয়ে যায়। সেইসময়েই বাইরে এসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay) ফোন করেন লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর নির্দেশেই গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন তৃণমূল সাংসদরা। সরকার পক্ষ সংসদে আলোচনা এড়িয়ে বিল পাস করছে । সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " আলোচনার জন্য কেন সময় দেয়নি সরকার?" কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আইন প্রত্যাহার করার বিল আনার জন্য আলোচনার কোনও আইন নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের এই যুক্তি অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল (All India Trinamool Congress)।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকসভার পুনরাবৃত্তি রাজ্যসভায়, ধ্বনি ভোটে পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল!
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, আন্দোলনের চাপে সরকার বিল প্রত্যাহার করেছে এমন কোনও নজির আছে কি? তিনি বলেন, " সরকার যখন কৃষি বিল নিয়ে আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) প্রতিবাদ করেছিলেন। অন্যান্য দলের তরফেও প্রতিবাদ করা হয়েছিল। ১১ মাস ধর্না হয়েছে, ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন একটি ইস্যুতে সরকার কেন আলোচনার সময় দেবে না?"
আরও পড়ুন: আলোচনার দাবি খারিজ, লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভায় বিরোধীদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যেই পাস হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। একইসঙ্গে রাজ্যসভায় পাস হয়ে যায় বিলটি। বিরোধীদের মধ্যে রাজ্যসভায় বলার একমাত্র সুযোগ পান কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকারজুর্ন খার্গে। বিল পাস হওয়ার পরেই দিনের মত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। তিনি বলেন , ''আমরা কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনা চাই। সরকার লোকসভায় বিলটি পাস করিয়ে দেখাতে চায় তারা কৃষক দরদী।''
RAJIB CHAKRABORTY