আরও পড়ুন: আলোচনার দাবি খারিজ, লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাশ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল!
শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল নয়াদিল্লি। কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal bill Passed in Rajya Sabha) নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তোলে বিরোধীরা। বিরোধীদের তুমুল হট্টগোল উপেক্ষা করে বেলা বারোটার পরে লোকসভায় পাস হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। অধিবেশন শুরুর পর প্রথম দফায় মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই পাস হয় বিল। বিল পাসের পর আরও শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
advertisement
এদিন, বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটিতে কৃষি আইন (Farm Laws Repeal bill Passed in Rajya Sabha) প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার জন্য সময় বরাদ্দ না করায় অধিবেশনের শুরুতেই সংসদে বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বামদলগুলি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন তুমুল হট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস তৃণমূল সমাজবাদী পার্টি সহ অন্য দলের সদস্যরা। যার জেরে দুপুর ১২টায পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পিকার ওম বিড়লা।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন সকালেই ট্যুইট করে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। অন্যান্য বিরোধী দল গতকাল সর্বদলীয় বৈঠকেই কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার দাবি জানায়। যদি গতকালের বৈঠকে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন অভিযোগ করেন, সরকার সংসদ এড়িয়ে বিল পাস করানোর রীতি নিয়ে চলছে।
সকালে সভা শুরু হতেই কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে লোকসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিরোধীরা। এছাড়াও, গান্ধিমূর্তির পাদদেশে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। অন্যান বিরোধী দলও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে একই দাবিতে। যদিও বিরোধীদের দাবি অগ্রাহ্য করেই ধ্বনি ভোট লোকসভায় পাস কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস করিয়ে নেয় সরকার। এরপর বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা হয় দুপুর দুটোয়। সেখানেও লোকসভার পুনরাবৃত্তি হয়ে ধ্বনিভোটে পাস হয়ে যায় বিলটি। এবারে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই সরকারিভাবে বাতিল হয়ে যাবে বিতর্কিত কৃষি আইন।
অন্যদিকে, বিরোধীদের দাবি সামনে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃষি আইন পাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। ভোট পেরিয়ে গেলে ফের এই বিল আনা হবে বলে আশঙ্কা বিরোধী দলগুলোর।