ফণীতে বিধ্বস্ত বাংলার একাংশ ৷ এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার প্রতি মানবিকতার হাত বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সাইক্লোনে বিধ্বস্ত বাংলাকে সাহায্য করতে তৈরি রয়েছে কেন্দ্র ৷ শুক্রবার ট্যুইটে একথা জানালেন নরেন্দ্র মোদি ৷ পাশাপাশি, রাজ্যপালকে ফোন করে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলার ঘরছাড়া মানুষদের যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷
advertisement
ফণীর জেরে কৃষিজ ফসলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভাঙড়ে ৷ নষ্ট হয়েছে প্রচুর কলা গাছ ও বিপুল পরিমাণে পাকা ধান, উচ্ছে, ঝিঙে, শসা-সহ বেশ কিছু মরসুমি কৃষিজ ফসল ৷ সামনে রমজান মাস থাকায় কলা চাষীরা আশা করেছিলেন ফসল বিক্রি করে বেশি মুনাফা পাবেন ৷ তবে, ফণীর তাণ্ডবে কলা গাছের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় চাষীদের কার্যত মাথায় হাত ৷ ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রশাসনের ওপরই ভরসা করছেন কৃষকেরা ৷ শুধু ভাঙড়ই নয় ৷
উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাতেও রীতিমত তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় ৷ সুন্দরবন এলাকাতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফণীর জেরে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০০টি কাঁচাবাড়ি, ভেঙে পড়ল প্রায় ৭০টি বাড়ি। উড়ে গেল নামখানা স্টেশনের শেড। আহত বেশ কয়েকজন। ফণীর জেরে রায়মঙ্গল বাঁধে ফাটল। প্লাবনের আতঙ্কে বসিরহাট, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ ৷ অন্যদিকে, মেদিনীপুরেও ঝড়ের বিধ্বংসী গতিতে ছাড়খাড় হয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা ৷ উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির চাল ৷ ভেঙে পড়েছে মাটির বাড়ি ৷ ঘরছাড়া একাধিক মানুষ ৷