পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ওই মেয়েটি শনিবার বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রথমে পরিবার ভেবেছিল, হয়তো কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশীর বাড়িতে গেছে। কিন্তু রাতে যখন আর ফেরেনি, তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্বজনরা। টর্চ নিয়ে গ্রাম ঘুরে রাতভর খোঁজ চালানো হয়। অবশেষে ক্লান্ত পরিবার পুলিশের কাছে গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে।
advertisement
আপনি কি মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতকোত্তর? বিরাট কাজের সুযোগ আইআইটিতে, জানুন!
দাউদাউ জ্বলছে সরকারি বাস! যাত্রীরা যা করলেন… বাগুইহাটির ব্যস্ত রাস্তায় ত্রাস!
রবিবার সকালে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে খবর— ড্রেনে এক শিশুর দেহ পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত দেহ। শরীর জুড়ে গভীর ক্ষতের চিহ্ন। গলা ও মুখে এতটাই আঘাত ছিল যে চেনা যাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, শিশুটির কান ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে, চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। দৃশ্য দেখে গ্রামবাসীদের চোখে জল এসে যায়। সন্দেহ তৈরি হয়— নির্দোষ শিশুটিকে প্রথমে নির্যাতন করে পরে খুন করা হয়েছে।
এরপরেই ক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসেন গ্রামবাসীরা। শবালভাঙ্গা যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করা হয়। ফলে কয়েক ঘণ্টা অঙ্গুল–বান্টলা রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে। মানুষের দাবি— দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অঙ্গুল জেলার এসপি রাহুল জৈন। সঙ্গে ছিল বৈজ্ঞানিক তদন্তকারী দল ও ডগ স্কোয়াড। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা (নম্বর ১৪/২০২৫) নথিভুক্ত হয়েছে।
এসপি স্থানীয়দের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পুলিশ পুরো গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছে। অপরাধীরা কোনওভাবেই ছাড়া পাবে না।”