রাজস্থানের পালি জেলার বাসিন্দা কমলেশ তার স্ত্রীর জন্য ভালো জীবন গড়ে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করছিল। কাজের জন্য প্রায়ই তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হতো। কিন্তু এই অনুপস্থিতিই তার দাম্পত্য জীবনের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: মুরগির মাংস রান্না না করার অপরাধ, স্বামীর থাপ্পড়ে প্রাণ হারালেন মহিলা…
স্বামীর অনুপস্থিতিতে কমলেশের স্ত্রী তার হিসাবরক্ষক অশোক সীরভীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কমলেশ বিষয়টি টের পেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। তবে স্ত্রী নিজের দোষ স্বীকার করার বদলে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে কমলেশকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
advertisement
৯ ফেব্রুয়ারি কমলেশের স্ত্রী সুকিয়া দেবী ও তার প্রেমিক অশোক সীরভী মিলে কমলেশকে খুন করে। হত্যার পর তারা তার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে মাটির নিচে পুঁতে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ঘটনা, শ্বাশুড়িকে গাড়ির ভিতরে পুড়িয়ে মারল জামাই, তারপর নিজেও…
কিন্তু অপরাধ বেশি দিন লুকিয়ে থাকে না। সোজতের ন্যাশনাল হাইওয়ের কাছে একটি ক্ষেত থেকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। এক ব্যক্তি ক্ষেতে ঘুরতে গিয়ে দেখেন, মাটিতে হাতের আঙুল৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ তদন্ত চালিয়ে জানতে পারে মৃত ব্যক্তি সোজতের বাসিন্দা কমলেশ কালাল। তদন্তের পর বেরিয়ে আসে যে কমলেশের স্ত্রী সুকিয়া দেবী তার স্বামীর হিসাবরক্ষক অশোক সীরভীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল। যখন কমলেশ এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখনই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
কমলেশকে হত্যার পর তার স্ত্রী ও প্রেমিক তার স্কুটিতে করে পালিয়ে যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, তারা পুনেতে আত্মগোপন করে রয়েছে। পুলিশ তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে পুনে থেকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে দুজনেই স্বীকার করেছে যে তারা আজীবন একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখছিল। এছাড়া, কমলেশকে সরিয়ে দিতে পারলে তার ব্যবসাও তাদের দখলে আসত৷ এই লোভই তাদের এই অপরাধ করতে উৎসাহিত করে।