TRENDING:

Explainer: অবশেষে কি দেশে TikTok ফিরে আসছে? LinkedIn-এ চাকরির বিজ্ঞাপন থেকে লাইভ ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস, কী ঘটছে আদতে জেনে নিন

Last Updated:

Explainer: TikTok-এর বেইজিং-ভিত্তিক অভিভাবক ByteDance গুরুগ্রামে চুপিচুপি চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়, যার মধ্যে একটি ছিল বাংলাভাষী কন্টেন্ট মডারেটরের জন্য এবং আরেকটি ছিল ওয়েলবিইং অ্যান্ড পার্টনারশিপের জন্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
এ যেন ঠিক ভূত দেখার মতো ব্যাপার! ভারতের অ্যাপ স্টোর থেকে TikTok উধাও হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। শুরুটা হয়েছিল ছোট ঘটনা দিয়ে, সঠিকভাবে বললে LinkedIn-এ কয়েকটি চাকরির পোস্ট দিয়ে। TikTok-এর বেইজিং-ভিত্তিক অভিভাবক ByteDance গুরুগ্রামে চুপিচুপি চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়, যার মধ্যে একটি ছিল বাংলাভাষী কন্টেন্ট মডারেটরের জন্য এবং আরেকটি ছিল ওয়েলবিইং অ্যান্ড পার্টনারশিপের জন্য। এগুলো নিয়মিত কর্পোরেট পদ। কিন্তু ভারতের প্রেক্ষাপটে এগুলো ঠিক যেন শুকনো ঘাসের উপর আগুনের ফুলকির মতো এসে পড়ল। যদি TikTok স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধই করা হয়, তাহলে ভারতে কেন এবং কীভাবে নিয়োগ চলছে?
News18
News18
advertisement

এমন একটি ওয়েবসাইট যার কাজ করা উচিত নয়

এর পর আসল ধাক্কাটা আসে। বেশ কয়েকজন ইউজার রিপোর্ট করেন যে ভারতে হঠাৎ করেই টিকটকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লোড হচ্ছে। পরিচিত কালো-সাদা হোম পেজের স্ক্রিনশটগুলো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, ইনস্টাগ্রাম স্টোরি এবং এক্স ফিডগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

গুগল প্লে এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি অনুপস্থিত ছিল, কিন্তু ওয়েবসাইটটির সংক্ষিপ্ত অ্যাক্সেসযোগ্যতা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। কোম্পানিটি কি চুপেচাপে তার সার্ভারগুলি পরীক্ষা করছিল? এটি কি ২০২০ সাল থেকে চলা ভারতের নিষেধাজ্ঞার প্রাচীরে প্রথম ফাটল? না কি এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল?

advertisement

আরও পড়ুনঃ ৬০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগের জের, বান্দ্রার জমজমাট রেস্তোরাঁয় তালা লাগাতে বাধ্য শিল্পা শেঠি

এমন এক নিষেধাজ্ঞা যা কখনও উঠে যায়নি

কেন এই ঘটনা এত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তা বুঝতে হলে ২০২০ সালের জুনে ফিরে যেতে হবে। চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং ডেটা গোপনীয়তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ভারত টিকটক এবং আরও কয়েক ডজন চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। এটি ছিল একটি বিরাট পদক্ষেপ। সেই সময়ে ভারত ছিল টিকটকের বৃহত্তম বাজার যেখানে ২০ কোটিরও বেশি ইউজার ছিল।

advertisement

ছোট শহর হোক বা মেট্রো, উভয় ক্ষেত্রেই নির্মাতারা এর আসক্তিকর অ্যালগরিদমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দর্শক খুঁজে পেয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা কেবল একটি অ্যাপকেই মুছে ফেলেনি, এটি হাজার হাজার কেরিয়ারকেও ব্যাহত করেছে, ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ী, যাঁরা সম্পূর্ণরূপে TikTok-এর উপর নির্ভর করে তাঁদের ব্র্যান্ড তৈরি করেছিলেন।

এর পরের বছরগুলিতে ইনস্টাগ্রাম রিল, ইউটিউব শর্টস এবং বেশ কয়েকটি ভারতীয় স্টার্টআপ এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ছুটে এসেছে। কিছু সফল হয়েছে, কিন্তু কলেজ ক্যাম্পাস বা টায়ার ২ শহরগুলিতে জিজ্ঞাসা করলেই একই কথা শুনতে পাওয়া যাবে: “কোনওটাই টিকটকের মতো নয়!” ব্র্যান্ডটির সাংস্কৃতিক পদচিহ্ন এখনও স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে, যে কারণে এর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনার সামান্য একটি ঝলকও এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।

advertisement

সরকারের কঠোর প্রতিক্রিয়া

ভারত সরকার হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী জল্পনা-কল্পনা চলছিল। কর্মকর্তারা এই আলোচনাকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন, স্পষ্ট করে বলেছেন যে টিকটক আনব্লক করার জন্য কোনও আদেশ জারি করা হয়নি। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আরও মনে করিয়ে দিয়েছে যে স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া কোম্পানিগুলি ভারতীয় ডিজিটাল জগতে ফিরে আসতে পারবে না।

advertisement

এই স্পষ্ট ব্যাখ্যা তথা বিবৃতি অনেক ইউজারের আশার আলো কেড়ে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আলোচনা শেষ হয়নি। প্রশ্ন এখনও উঠছে- কেন চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল এবং কেন ওয়েবসাইটটি হঠাৎ কাজ করা শুরু করে দিল?

কেন এই মিশ্র সঙ্কেত?

শিল্প পর্যবেক্ষকরা এই প্রসঙ্গে যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করছেন। তাঁদের যুক্তি, বাইটড্যান্স এখনও ভারতে তাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে পারে, ব্যাকএন্ড ফাংশন পরিচালনা করতে পারে, ভারতের বাইরে প্রচারিত বাংলা বা হিন্দি বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, দক্ষিণ এশিয়ায় অংশীদারিত্ব পরিচালনা করতে পারে, অথবা ভবিষ্যতের পণ্যের জন্য বাজার গবেষণা করতে পারে। এই কাজগুলির সাপেক্ষে লিঙ্কডইন পোস্টের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

ওয়েবসাইটটির সংক্ষিপ্ত দৃশ্যমানতার কথা বলতে গেলে কেউ কেউ সন্দেহ করেন যে এটি ইচ্ছাকৃত সঙ্কেত নয়, বরং সার্ভার কনফিগারেশন ত্রুটি ছিল। তবুও এমন এক যুগে যেখানে গুজব সত্যের চেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এই ধরনের ত্রুটিগুলি ভাইরাল তত্ত্বের জন্ম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যাঁরা এখনও টিকটকের অ্যালগরিদমিক জাদু মিস করেন, তাঁদের কাছে প্রতিটি ইঙ্গিতই সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের মতো মনে হয়।

বৃহত্তর চিত্র কিন্তু উদ্বেগের

এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে টিকটক ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া কাঠামোতে কতটা গভীরভাবে মিশে রয়েছে। পাঁচ বছর পরেও অফুরন্ত সোয়াইপিং, এলাকায় তারকা হয়ো ওঠার খ্যাতি এবং রাতারাতি ভাইরাল খ্যাতির স্মৃতি উসকে দিয়েছে কেবল কয়েকটি চাকরির পোস্ট এবং একটি হোমপেজের ঝলক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলি বাজারের কিছুটা অংশ দখল করতে পেরেছে, কিন্তু তারা টিকটকের আকর্ষণকে প্রতিস্থাপিত করতে পারেনি।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Explainer: অবশেষে কি দেশে TikTok ফিরে আসছে? LinkedIn-এ চাকরির বিজ্ঞাপন থেকে লাইভ ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস, কী ঘটছে আদতে জেনে নিন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল