প্রশ্ন - সোমবার বৈঠক ছেড়ে কেন বেরিয়ে এলেন?
বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টায়। শুরু হল সাড়ে সাতটায়। এক ঘন্টা আমি অপেক্ষা করেছি। আমার একটা পারিবারিক কাজ ছিল। মুখ্য সচেতককে বলে তাই আমি চলে আসি৷ আমি শুনেছি বৈঠক শুরু হয় রাত ৮ঃ২০ মিনিটে।
প্রশ্ন - রবিবার আগরতলায় আলাদা বৈঠক কেন করলেন?
advertisement
কর্মীদের মনে বিশাল জ্বালা, যন্ত্রণা, ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আমি ও আমরা ভেবেছিলাম দলের উপর তলায় সবটা বলব।
প্রশ্ন - মঙ্গলবার মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠানে আপনি ও আপনার ঘনিষ্ঠরা অনুপস্থিত কেন?
শুধু ৫ জন বিধায়ক (রবিবার যারা সুদীপের সাথে মিটিং করে) অনুপস্থিত ছিল না৷ সুরজিত দত্ত, অতুল দেববর্মা, পরিমল দেববর্মা-সহ অনেকে অনুপস্থিত ছিল। এটা নিয়ে আমাদের আইসোলেট করার দরকার নেই৷ আমাদের লক্ষ্য একটাই, মানুষের সমস্যা তুলে ধরা। রাজ্যের মানুষ বলতে পারবে তাদের অবস্থা কী। তবে নতুন মন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানাই। জনস্বার্থে কাজ করবেন তাঁরা, এই প্রত্যাশা থাকবে। নতুন সব মন্ত্রীর প্রতি আমার প্রত্যাশা থাকল। ভালো কাজ করলে মানুষের সমর্থন আসবে।
প্রশ্ন - আপনার স্বাস্থ্য দফতর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে।
স্বাস্থ্য দফতর যেন বাড়তি বোঝা হয়ে না বসে৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নিজ হাতে রেখেছেন শুনেছি। তবে অন্য দফতর উনি কাঁটছাট করতে পারতেন। পূর্ত দফতরে ওঁকে মানায় না। স্বাস্থ্য দফতর অন্য কাউকে দিলে ভালো করতেন৷ ওঁর ভাবা উচিত পরিকাঠামো ও উন্নয়ন কী করে করা যায়। আমি সেটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। তবে all the best
আরও পড়ুন-দুই দিনে দুই ধাক্কা, ঘর ভেঙে বিধায়কদের 'ঘরে ফেরা' নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ
প্রশ্ন - সুশান্ত চৌধুরী নিয়ে অভিমানী।
ওঁকে তো আমি নিজের হাতে গড়ে তুলেছি৷ আমি ওর রাজনৈতিক পিতা হিসাবে গর্ব বোধ করি৷ আমি খুশি। আমি আপ্লুত। তবে আমি দুঃখ পেয়েছি। ভেবেছিলাম ও একবার আসবে আমার কাছে৷ আমাকে একটা প্রণাম করবে। আমি ওঁর জন্যে একটা কলম কিনে রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম ওটা দিয়ে ও স্বাক্ষর করবে।
প্রশ্ন - আপনার বিরুদ্ধে কি কোনও চক্রান্ত হচ্ছে?
আমার হয়তো সিংহাসন নেই৷ আমি মানুষের হৃদয়ে আছি। এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। সবাই সুখে থাকুক। সবাই ভালো থাকুক।*
প্রশ্ন - আপনাকে কি বৈঠকে ডাকা হয় না?
আমাকে যখন ডাকা হয়ে তখন আমি যাই। দুব'ছর পরে বি এল সন্তোষ ডেকেছিল। আমি গিয়েছিলাম। আবার ২ বছর পরে আমাকে ডাকল। আমি গিয়েছিলাম। দলে কর্মঠ নেতারা আছেন। পপুলার ফেস, জাঁদরেল সব নেতারা আছে তো!
প্রশ্ন - আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি? তৃণমূলে যোগ দেবেন?
দেখুন আমাকে নিয়ে কে কী বলল, সেটা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলছে, তাতে আমার প্রতিক্রিয়া দেওয়া মানায় না। সামনে ২০২৩ ভোট আসছে। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি আছেন। ৩ জন যুব সাধারণ সম্পাদক আছেন। ওনারা যা পলিসি নেবেন তা কার্যকরী করবে দল। আমার একটাই কথা, ভালো পরিবেশে যেন রাজনীতি হয়। হামলা, হুজ্জুতি যেন না হয়৷ গায়ের জোর, পেশির জোর সব সময় সমান থাকে না। আমার অনুরোধ শাসক দলের কাছে, পেশির জোর ব্যবহার করে বেশি দূর যাওয়া যায় না। গণতান্ত্রিক দেশে সবাই সবার পলিসি নিয়ে এগোবে৷ বাধা দিলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক হবে।