জিতেন সরকারের দলবদল নিয়ে শোরগোলের কারণ স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকেই জিতেন সরকারের প্রসঙ্গ আনেন মমতা। জানান, ত্রিপুরার প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পাঁচ বারের বিধায়ক জিতেন সরকার তাঁর বেশ কিছু অনুগামীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন৷ দীর্ঘদিনের বাম নেতা ২০০৮ সালে সিপিএম ছাড়েন। এরপর অনুগামী নেতাদের নিয়ে ২০১০ সালে যোগ দেন কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৬ সালে ফের ফিরে যান নিজের পুরনো দল সিপিএমে। কিন্তু সেই যোগদানও বেশিদিনের নয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে জিতেন সরকার দলবল নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। সেই জিতেন সরকারই এবার আলোচনার কেন্দ্রে ত্রিপুরায়। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বাংলার পর এবার ত্রিপুরাতেও জিতবে তৃণমূল৷
advertisement
তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকাতে রীতিমতো গুন্ডাগিরি চালানো হচ্ছে৷ কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। এরপরই তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারি, এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূলই। আসলে যত দিন যাচ্ছে, ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সংঘাত প্রবলভাবে তীব্র হচ্ছে। এমনকী তৃণমূলের নেতারা যে হোটেলে উঠছেন, সেখানেও সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। হোটেল কর্তৃপক্ষের উপরেও পুলিশ, প্রশাসনের তরফ থেকে নানা রকম ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল৷ হোটেলে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ এমনকী, তৃণমূল নেতাদের ঠিক মতো খাবার পরিবেশনও করা হচ্ছে না।
যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘এরকম ধমকে চমকে আমাদের আটকানো যাবে না৷ এবার আমরা ত্রিপুরায় জিতবই৷ আমরা চাই বাংলার প্রকল্পগুলি ত্রিপুরায় চালু হোক৷ ত্রিপুরার মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পাক, বিনা পয়সায় চাল পাক৷ আমরা চাই ত্রিপুরার মানুষ ভালো থাকুক৷’ এরই মধ্যে জিতেন সরকারের মতো পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তৃণমূলে যোগদান জল্পনা ত্রিপুরায় সাড়া ফেলেছে নিঃসন্দেহে।