একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই। শুধুমাত্র নিরপেক্ষতা, পক্ষপাতহীনতা এবং সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা থেকে এই চিঠি লিখেছেন তাঁরা। আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তির বিরোধিতা করে খোলা চিঠিতে লেখা হয়েছে, "ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হয় নাগরিকত্বের বিচারে, অন্যদিকে, আধার কার্ড ব্যক্তির নিজস্ব পরিচয়, সেখানে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয় না। আধার কার্ড আইন ২০১৬ অনুযায়ী, আধার কার্ড ব্যক্তির ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গ, নাগরিকত্ব অথবা সম্পর্কের প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হবে না।"
advertisement
আরও পড়ুন: ২৮ ডিসেম্বর ৩৮২, ১ জানুয়ারি ২৩৯৮! ৫ দিনে ৬ গুণ বৃদ্ধি কলকাতার কোভিড-গ্রাফে! কেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদের সদ্য সমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিলটি সংসদের দুই কক্ষেই পাস করিয়ে নিয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার সংস্কারের নামে দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে চাইছে বলে অভিযোগ করে বিরোধী শিবির। এই বিলের তুমুল বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করতে করেন বিরোধী সাংসদরা।এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূল-সহ সমগ্র বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন: দোকানে চলছিল আলোচনা, কান পেতে শুনে যা করলেন বীরভূমের চা বিক্রেতা, তারিফ করছে সকলে...
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন সংসদে বলেন, "অপশাসনের জলজ্যান্ত উদাহরণ হল এই সরকার। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। জোর করে বিল করানোর চেষ্টায় বিরোধীদের কোণঠাসা করা হচ্ছে।" তাঁর বক্তব্য, যেভাবে সংসদে আলোচনা এড়িয়ে কৃষি বিল পাস করানো হয়েছিল, সেই পথে হেঁটেই নির্বাচনী সংস্কার বিলটিও পাস করিয়ে নিতে চাইছে মোদি সরকার। বিলটির বিরোধিতায় একযোগে সরব হয় সিপিএম, সিপিআই, বহুজন সমাজ পার্টি, ডিএমকের মতো দলগুলিও। যদিও শেষপর্যন্ত ধ্বনি ভোটে বিলটি পাস হয়ে যায়।