প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চান দেশকে শ্রীকৃষ্ণের সুদর্শন চক্রের মতো সুরক্ষা দিতে। তাই ঘোষণা করলেন মিশন সুদর্শন, যা হবে ‘নতুন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’। এটি শুধু দেশকে রক্ষা করবে না, শত্রুকেও ধ্বংস করবে।
মদ নয়, ‘মহৌষধ’! রাম খেলেই ১০ রোগ থেকে মুক্তি…কী ভাবে? জানুন রামের এই আশ্চর্য ‘গুণ’!
advertisement
Photo: News 18
মোদি বলেন, “যতই সমৃদ্ধি আসুক, যদি সুরক্ষা না থাকে, তার কোনও মূল্য নেই। আসছে ১০ বছরে দেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা—কৌশলগত হোক বা বেসামরিক—যেমন হাসপাতাল, রেল, আস্থার কেন্দ্র—সবকিছুই নতুন প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বলয়ে আনা হবে।”
তিনি জানান, এই নিরাপত্তা ঢাল ক্রমাগত বাড়ানো হবে। “যে প্রযুক্তিই আসুক, আমাদের প্রযুক্তি যেন তাকে প্রতিহত করতে পারে—এটাই লক্ষ্য। ২০৩৫ সালের মধ্যে আমরা জাতীয় নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারিত করব।”
Photo: News 18 সুদর্শন চক্র কী?প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এটি হবে এক শক্তিশালী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা শত্রুর আক্রমণকে শুধু নিষ্ক্রিয়ই করবে না, বরং অনেক দ্রুত পাল্টা আঘাত হানবে।
মোদি স্মরণ করালেন মহাভারতের যুদ্ধের কথা—যখন শ্রীকৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে সূর্যকে আড়াল করে দিনে অন্ধকার তৈরি করেছিলেন, যাতে অর্জুন জয়দ্রথকে হত্যা করার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করতে পারেন। সেই কৌশলেই অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ এখন চালু করবে মিশন সুদর্শন চক্র।
সুদর্শন চক্র কী?
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, এটি হবে এক শক্তিশালী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা শত্রুর আক্রমণকে শুধু নিষ্ক্রিয়ই করবে না, বরং অনেক দ্রুত পাল্টা আঘাত হানবে। মিশন সুদর্শন চক্রের সমস্ত গবেষণা, উৎপাদন ও প্রযুক্তি উন্নয়ন হবে দেশের ভেতর, দেশীয় বিশেষজ্ঞদের দ্বারা। যুদ্ধক্ষেত্রের প্রয়োজন মেনে ‘প্লাস ওয়ান’ নীতি অনুযায়ী এর পরিকল্পনা হবে।
সুদর্শন চক্রের বিশেষত্ব ছিল—এটি লক্ষ্যভেদ করে আবার ফিরে আসত। নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সেই ধারণা অনুসারে ‘টার্গেট’ ভিত্তিক প্রযুক্তিতে এগোবে।