ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে রাজ্যের চার জন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে সাসপেন্ড করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন৷
আরও পড়ুন: রাজ্যের বক্তব্য শোনা হোক, এসআইআর নিয়ে জোর সওয়াল কল্যাণের! শুনে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করতেও রাজ্যকে নির্দেশ দেয় কমিশন৷ যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব কমিশনকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, এখনই কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে তারা এখনই কোনও ব্যবস্থা নেবে না৷ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে৷ সেই রিপোর্ট আসার পরই রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে বলে কমিশনকে জানানো হয়৷ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে কেন্দ্র করেই কমিশন-রাজ্য সংঘাত শুরু হয়৷
advertisement
যে চার আধিকারিককে নিয়ে বিতর্ক তাঁরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইআরও এবং এইআরও হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন৷ এঁদের মধ্যে দু জন ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার অফিসার৷
এর পরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে তলব করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ এ দিন বিকেলেই কমিশনের সদর দফতরে হাজির হন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ৷ মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার সহ মোট তিন জন কমিশনার৷ প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আলোচনা চলে৷
কমিশনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিবকে জানানো হয়, রাজ্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সেটা নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কোনও বক্তব্য নেই। রাজ্য যা তদন্ত করছে সেটা রাজ্য রাজ্যের মতো করুক। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে, সেই ব্যবস্থা রাজ্যকে নিতেই হবে৷
সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার মুখ্যসচিবকে বলেন, ‘আজ যদি কোন পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে এটা অন্যান্য রাজ্যে ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা আমরা কোনদিন হতে দিতে পারি না।’
পাল্টা মুখ্যসচিব যুক্তি দেন, ‘যদি সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এ ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আগামী দিনে তাঁরা কাজ করতে আরও ভয় পাবেন।’
যদিও মুখ্যসচিবের এই যুক্তি মানতে চায়নি নির্বাচন কমিশন৷ রাজ্য যে কমিশনের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করেছে, সেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট চেয়ে ফের কমিশন রাজ্যকে চিঠি দেবে বলেও মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কমিশনের চরমবার্তার পর রাজ্য সরকার এ বার অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে কি না, সেটাই দেখার৷