দিন কয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্ট সঞ্জয় বসুকে পাঠানো ইডি-র সমনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। ১০ মার্চের সমনের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয আদালত। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া ইডি-র সামনে হাজিরা দিতে হবে না সঞ্জয় বসুকে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া অফিস এবং বাড়িতে কোন তল্লাশি করতে পারবে না ইডি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির তদন্তে মহা বিপাকে শান্তনু! তালা ভেঙে বাড়ি-রিসর্টে চলছে ইডির চিরুনি তল্লাশি, কী উদ্ধার হল?
advertisement
সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করা হয় ইডির পক্ষ থেকে। ইডি আদালতে দাবি করে, 'মামলাকারীর কাছে বিকল্প আইনি পথ রয়েছে। তিনি FIR/ ECIR খারিজের আবেদন জানাতে পারেন। তিনি চাইলে আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী এই আবেদন সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে জানাতে হয়। ডিভিশন বেঞ্চে কেন এসেছেন ? ২০১৪ সালে পিনকন সংস্থা সঞ্জয় বসুকে তাদের আইনি বিষয় দেখার জন্য অগ্রিম হিসাবে ৮৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। ২০২১ সালে তিনি ৭০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন এই যুক্তিতে যে তিনি ওই অঙ্কের টাকার কোন আইনি পরিষেবা দেননি। তিনি খাতায় কলমে পিনকনের আইনজীবী ছিলেন না। সংস্থার ডিরেক্টরদের সাজা হওয়ার পর টাকার গতিপথ খুঁজতে গিয়ে আমরা সঞ্জয় বসুকে সমন পাঠাই। ২০২১ সালে আমরা প্রথম সমন পাঠিয়েছিলাম। সমন পাঠানোর আগেই হয়ত টাকা ফেরত ৭০ লক্ষ টাকা।'
যদিও ইডি-র যুক্তি খারিজ করে দিয়ে সঞ্জয় বসুুকেই স্বস্তি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট{ এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে গেল ইডি৷