ইডি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে হাওয়ালার সঙ্গে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে নবাব মালিকের নাম প্রথম উঠে আসে। দাউদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলার তদন্ত করছে ইডি। ইকবাল মিরচি, ছোটা শাকিল, হাসিনা পার্কার এবং জাভেদ চিকনার মত দাউদের সহযোগীদের হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনিভাবে টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে আগেই।
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভূমিকা ছিল ওই রাতে, ডেকে পাঠানো হল সিভিক ভলেন্টিয়ারকে, আনিস কাণ্ডে খুলবে জট?
ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, পাচার করা অর্থ তোলাবাজি, মাদক পাচার ও নানা বেআইনি কাজের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরে এই ঘটনায় মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। সেই সূত্রে দাউদ ইব্রাহিমের প্রয়াত বোন হাসিনা পারকরের বাড়িতেও হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: বিহার থেকে রাজ্যে ঢুকল একটি বোলেরো গাড়ি, যা মিলল ভিতরে, চক্ষু চড়কগাছ সকলের!
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পঞ্জাবে ডি-কোম্পানি এখনও সক্রিয় রয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে নাশকতা করার ষড়যন্ত্রও হতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। চলতি মাসেই ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণে প্রধান অভিযুক্ত আবু বকরকে আরব আমিরশাহি থেকে আটক করা হয়েছিল। আবু বকর দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেই জানেন সকলে। এই মামলায় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিরোধীরা গোটা বিষয়টিকে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা বলে দাবি করেছে। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এদিন সকালেই নবাবের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ''নবাব মালিক অত্যন্ত স্পষ্টভাষী, আমরা নিশ্চিত ছিলাম তাঁকে সমস্যা ফেলা হবে। সেই কারণেই নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে যদি কোনও মুসলিম ব্যক্তি সরব হন, তখনই তারা তাঁকে দাউদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আমি যখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখনও তাঁরা আমাকে দাউদের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেছিল।''