আজই তাঁকে জলন্ধর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা৷
২০১৮ সালে অবৈধ বালি উত্তোলন মামলার তদন্তে নেমেই ভূপেন্দ্র সিং-এর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি৷ এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ রয়েছে৷ পঞ্জাব ভোটের মাত্র দু' সপ্তাহ আগে ভূপেন্দ্র সিং-এর গ্রেফতারিতে রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ো গিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: দুই সিটেই কংগ্রেস হারবে, পঞ্জাব মডেল নিয়ে আমি প্রস্তুত : মান
অবৈধ বালি উত্তোলন মামলায় গত ১৯ জানুয়ারি পঞ্জাব জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে নগদ দশ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি৷ অভিযোগ, এর মধ্যে আট কোটি টাকাই উদ্ধার করা হয়েছিল ভূপেন্দ্র সিং-এর মালিকানাধীন সম্পত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে৷
আরও পড়ুন: পরপর গাড়িতে গুলি, ভোটের উত্তরপ্রদেশে বিস্ফোরক অভিযোগ ওয়েইসি'র!
এই তল্লাশির পরেই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ভোটের আগে তাঁকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করতেই তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি৷ তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, জানুয়ারি মাসের শুরুতে পঞ্জাবের ফিরোজপুরে কৃষক বিক্ষোভের মুখে পড়ে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফিরে যেতে হয়েছিল, তার বদলা নিতেই এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হয়েছে৷ চান্নির দাবি ছিল, এই মামলায় তাঁর ভাইপো অভিযুক্তই নন৷
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র চমকপুর সাহিবে দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি বালি উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে৷ বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বেআইনি বালি তোলা বন্ধে কোনও পদক্ষেপই েনননি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী৷ চরণজিৎ সিং চান্নির ভাইপোর গ্রেফতারির পরে ভোটের আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারের জোরালো অস্ত্র পেয়ে গেলেন বিরোধীরাও৷