ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সিমোলজির (পরিবেশ, জলবায়ু, ভূমিকম্প এবং ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা) প্রধান বিজ্ঞানী ডক্টর এন পূর্ণচন্দ্র রাও-এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "তুরস্কের চেয়েও বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা উত্তরাখণ্ডে রয়েছে। আমরা উত্তরাখণ্ডকে কেন্দ্র করে হিমালয় অঞ্চলে প্রায় ৮০টি সিসমিক স্টেশন স্থাপন করেছি। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের ডেটা দেখিয়েছে, এই এলাকায় ভুপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে চাপ দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছে।"
advertisement
তিনি বলেন, "এই এলাকায় জিপিএস নেটওয়ার্ক রয়েছে। GPS পয়েন্টগুলি সরে যাচ্ছে, যা ভূপৃষ্ঠের নীচে হওয়া পরিবর্তনগুলি নির্দেশ করে। জিপিএস ডেটা প্রসেসিং-য়ে পৃথিবীতে কী ঘটছে, তা নির্ধারণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।"
বিজ্ঞানী জানান, "আমরা সঠিক সময় এবং তারিখ ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না। তবে যে কোনও সময় উত্তরাখণ্ডে একটি বিশাল ভূমিকম্প হতে পারে।" বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথের মতো তীর্থস্থানগুলির প্রবেশদ্বার হিসাবে বিবেচিত জোশিমঠে ভূমিধসের বিষয়ে কথা বলার সময় ভারতের শীর্ষ এই বিজ্ঞানী ভূমিকম্পের আশঙ্কাবার্তা জানিয়েছেন।
ডক্টর এন পূর্ণচন্দ্র রাও সতর্ক করে জানিয়েছেন, "হিমালয় পাদদেশ অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকাতে ৮ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্ভর করে জনসংখ্যার ঘনত্ব, ভবন নির্মাণের গুণমান, পাহাড় বা সমতলভূমি এবং অন্যান্য অনেক কারণের উপর।"
আরও পড়ুন, ফের ভূমিকম্পে কাঁপল তুরস্ক, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৪
আরও পড়ুন, ফের ভূমিকম্প ভারতে! কেঁপে উঠল এই এলাকা, বাড়ি ছেড়ে বেরোলেন সকলে
সাধারণত, ৮ এবং তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প খুবই ধ্বংসাত্মক হয়। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাপা হয়েছে। তুরস্ক-সিরিয়ায় হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে।