পুরস্কার জেতার জন্য শর্ত ছিল একটাই ৷ পুরো লেনদেনই হতে হবে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে ৷ যত খুশি কেনাকাটা করতে পারেন কিন্তু দাম মেটাতে ব্যবহার করতে হবে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, রূপে কার্ড, ভীম অ্যাপ, অনলাইন ট্রান্সজাকশন পদ্ধতির মধ্যে একটি ৷ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত তিন সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে লাখ টাকার পুরস্কার পেয়েছেন ৪৫ জন ভাগ্যবান বিজেতা ৷
advertisement
গত ১৫ ডিসেম্বর সরকার ঘোষণা করে, ক্যাশের বদলে ডিজিট্যালি পেমেন্ট করে কেনাকাটা করবেন যে সব গ্রাহকেরা, তাদের মধ্যে থেকে প্রতি দিন লাকি ড্রয়ে একজন গ্রাহককে বেছে নিয়ে পুরস্কৃত করবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ প্রতিদিন ৫০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে কেনাকাটা করলেই মিলবে এই সুযোগ ৷ প্রতিদিন ১০০০ টাকার পুরস্কার ছাড়াও সপ্তাহ শেষে থাকবে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার জেতার সুযোগ ৷ সবচেয়ে বেশি অনলাইন লেনদেনকারীকে দেওয়া হবে পুরস্কার ৷ এতেই শেষ নয় তিন বা ছয় মাস অন্তর দেওয়া হবে বাম্পার পুরস্কার ৷
এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’ ৷ সেই যোজনা অনুসারে ১০০ দিনে ১৫ হাজার জনকে পুরস্কৃত করার কথা বলে সরকার ৷ প্রতিদিন ১৫ হাজার গ্রাহক পাবেন ক্যাশব্যাক ৷ ২ হাজার টাকা করে ক্যাশব্যাক পাবেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা ৷ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় ৷ ১০০ দিনে ১৫ হাজার জনকে পুরস্কৃত করবে সরকার ৷ প্রতিদিন ১৫ হাজার গ্রাহক পাবেন ক্যাশব্যাক ৷ ২ হাজার টাকা করে ক্যাশব্যাক পাবেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা ৷
সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর প্রথম লাকি ড্র হয়৷ এখনও পর্যন্ত তিনবার এই লাকি ড্র হয়েছে ৷ পুরস্কার পেয়েছেন মোট ৬১৪ জন ৷ এদের মধ্যে ৫০০ জন ব্যবসায়ী ও ১১৪ জন সাধারণ মানুষ ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন ৷ ডিজিট্যাল লেনদেনের মাধ্যমে কেনাকাটা সেরে সাড়ে ছয় হাজার লাকি মানুষ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ৷ প্রতিদিন হাজার টাকা করে পুরস্কার পেয়েছেন ১৫ হাজার দেশবাসী ৷
চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই ‘লাকি গ্রাহক যোজনা’ ৷ লাকি ড্রয়ের পুরস্কার মূল্যের জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা ৷