ছবিটা ১৮ মাসের পুরনো। দু’বছর পর সেই স্মৃতিই ফিরল মঙ্গলবার। রাজধানী দিল্লি-সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতের এটিএম থেকে উধাও টাকা। কালো টাকা রুখতে নোটবন্দির দাওয়াই দিয়েছিলেন মোদি। নগদ সঙ্কট দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুতি মানতে নারাজ বিরোধীরা। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় সেই মোদি সরকার।
advertisement
ফের দেশজুড়ে এটিএমে নোটের খরা, কী বলছে RBI?
ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ক্ষোভ উগরে লেখেন, ‘দেশজুড়ে এটিএমে নোটের খরা। একাধিক রাজ্যে এটিঁএমে টাকা নেই। মিলছে না বড় নোট। এই ঘটনা নোটবন্দির দিনগুলিকে মনে করাছে। দেশে কি আর্থিক জরুরী অবস্থা চলছে?’
রাজনৈতিক মহলের মতে, কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে এটিএমে নগদ সঙ্কট বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল। ছড়া কেটে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তাঁর দাবি, পনেরো মিনিট সময় পেলে নরেন্দ্র মোদির সব মুখোশ তিনি খুলে দেবেন।
এটিএমে নগদের খরা আদতে বড় মাপের ষড়যন্ত্র। অভিযোগ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের। তাঁর নিশানায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শিবরাজের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই বাজার থেকে দু’হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছু ব্যাঙ্ক কর্তার দাবি, নগদহীন ডিজিটাল লেনদেনকে জনপ্রিয় করতে খানিকটা পরিকল্পনা মাফিকই ভাবেই টাকার যোগান কমিয়ে দিচ্ছে আরবিআই। বিরোধীরা সরব আরও একটি বিষয়ে, এই দেশ খরার সময় শুকনো জমি দেখেছে, কিন্তু মোদি সরকার দেখালো ফাঁকা এটিএম। যা প্রমাণ করল আক্ষরিক অর্থে ভারত ‘ক্যাশলেস’।