ভারতীয় পণ্যের উপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর থেকেই দু দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল৷ ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়৷ তারও আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির যে কৃতিত্ব ট্রাম্প নিতে চেয়েছিলেন, তাও অস্বীকার করেছিল নয়াদিল্লি৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং দিল্লির অনড় মনোভাবেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদির ৭৫ তম জন্মদিন৷
advertisement
সমাজমাধ্যমে মোদি লেখেন, ‘আমার ৭৫ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করার জন্য ধন্যবাদ আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও সর্বাত্মক এবং বিশ্ব স্তরে এই সম্পর্কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে আমি দায়বদ্ধ৷ ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাকেও আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি৷’
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে মদত করছে ভারত৷ এই যুক্তি দেখিয়েই ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ যদিও ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটার জন্য দেশের মধ্যেই সমালোচিত হতে শুরু করেন তিনি৷
গত কয়েক দিন ধরেই ভারতের প্রতি ফের কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ আলোচনার মাধ্যমে দু দেশের মধ্যে যাবতীয় মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলা যাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে যে চিড় ধরেছে, ট্রাম্প তা মেরামতির চেষ্টা করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷