২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের উপরে যদি নজর রাখা যায় ৷ তাহলে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি দখল করে নিয়েছিল বিজেপি ৷ পালঘর এবং ভান্ডারা গোন্ডিয়া আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি ৷ কিন্তু সমাজবাদী পার্টি জিতেছিল ৩টি আসনে ৷ ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বহাল ছিল সেই গেরুয়া ঝড় ৷ কিন্তু সেই ঝড় এক ঝটকায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ৷ আর যার জেরে বিজেপির অন্দরেই কোন্দল প্রকট হয়েছে ৷ কারণ ২০১৮ সালে যে চারটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে ২টিই মহারাষ্ট্রের লোকসভা কেন্দ্র ৷ কিন্তু সেই দু’টির মধ্যে পালঘরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মোদি ব্রিগেডের সামনে ধরাশায়ী হয়েছে শিবসেনা ৷ যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করির কাজ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই ৷
advertisement
প্রসঙ্গত, পালঘরে বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়েছে ঠিকই ৷ কিন্তু তা হয়েছে বিজেপিরই পুরনো শরিক শিবসেনাকে হারিয়ে! ফলে বিজেপির এই সান্ত্বনা পুরস্কারও শেষ পর্যন্ত এনডিএ-র ঐক্যেই চিড় ধরাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷ এই জয় শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কের ভাঙন আরও জোরদার করেছে তা বলাই যায় ৷ অপরদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক আরও মজবুত হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের ৷
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করেছিল শিবসেনা নেতৃত্ব ৷ গত তিন বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক খুবই খারাপ । বিজেপি বার বার শিবসেনাকে অবজ্ঞা করে চলেছে । যার জেরেই পুরোনো দুই শরিক দলের মধ্যেই বিচ্ছেদ ঘটে ৷ আর সেই দু’টি শরিক দলের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ‘দু:খজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷ একইসঙ্গে এই দুই শরিক দলের আবারও একসঙ্গে লড়াইয়ের পথ আরও সংকীর্ণ হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ৷
পালঘর লোকসভা উপনির্বাচনে বিজেপির জয় কি সহজভাবে নেবে শিবসেনা ? নাকি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বন্ধু বিজেপির সঙ্গেই লোকসভা নির্বাচনের আগেই পাকাপাকি বিচ্ছেদ হবে ! সেকথা বলবে সময় ৷