অবাক করে দেওয়ার মতো এমনই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের কল্যাণে৷ ওই বালকের পরিবার দ্বিতীয় একজন চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে গেলে ভুল ওষুধ দেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে৷ কল্যাণের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক ভুলের অভিযোগ উঠেছে৷
এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসুস্থ ওই বালককে চিকিৎসার জন্য তিন দিন কল্যাণের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ হাসপাতালের চিকিৎসক যে প্রেস্ক্রিপশন করে দেন তার প্রথম পাতায় টাইফয়েডের ওষুধ দেওয়া হয়৷ কিন্তু পরের পাতায় যে ওষুধগুলি লেখা হয় সেগুলির সঙ্গে টাইফয়েডের চিকিৎসার কোনও সম্পর্ক নেই৷
advertisement
ওই বালককে যে ওষুধগুলি দেওয়া হয় তার এক ধরনের ওষুধ টাইপ টু ডায়েবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়৷ অন্য একটি ওষুধ বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক আটকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়৷ ওই বালকের মা অঙ্কিতা রবি গায়কোয়াড়ের দাবি, ওষুধগুলি ঠিকঠাক দেওয়া হয়েছে কি না তা অভিযুক্ত চিকিৎসককে জিজ্ঞেসও করেছিলেন তিনি৷ তখন ওই চিকিৎসক জানান, ঠিক ওষুধই দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু অন্য আর একজন চিকিৎসকের কাছে যেতেই ভুল ধরা পড়ে৷
বিষয়টি সামনে আসতেই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিয়েছে৷ তাদের দাবি, ওই একই চিকিৎসক অন্য আর একজন রোগীকেও দেখছিলেন৷ যার এই সমস্যাগুলি ছিল৷ কোনও ভাবে দুজন রোগীর ওষুধ প্রেস্ক্রিপশন লেখার সময় মিশিয়ে ফেলেন ওই চিকিৎসক৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভুল ধরা পড়তেই ওষুধগুলি না খাওয়ানোর জন্য ওই বালকের পরিবারকে জানানো হয়েছিল৷