কচ্ছের ৪ হাজার বছরের প্রাচীন গুহা: খিরসারা গ্রাম থেকে দুই কিমি দূরে হাতেদিও পাহাড়। পাহাড়ের কোলে রয়েছে রহস্যময় গুহা। আশপাশের চার-পাঁচটা গ্রামের মানুষ বলেন, এই গুহা ৪ হাজার বছরের প্রাচীন। কিন্তু কে বানিয়েছে এই গুহা? না, এ সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। গ্রামবাসীরাও কিছু বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: চাকরি থেকে অবসর নিলেও আর থাকবে না পেনশনের চিন্তা; SBI দিচ্ছে দারুণ সুযোগ
advertisement
রহস্যময় এই গুহা যেন গোলকধাঁধা। প্রবেশের তিনটি পথ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বেরনোর হদিশ মেলেনি। নখতরানা শহর থেকে ৩০ কিমি দূরে খিরসারা গ্রাম। সেখান থেকে দুই কিমি হেঁটে পাহাড়ের ঝোপঝাড়ের মধ্যে দিয়ে রহস্যময় গুহায় পৌঁছনোর পথ। কয়েক বছর আগে চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এলাকার মানুষ। তাঁরা বলছেন, খাপরা ও কোডিও নামে দুই কুখ্যাত চোর এই গুহায় থাকত। আশপাশের এলাকায় চুরি চামারি করে লুকিয়ে পড়ত এখানে। তাই কেউ এদের টিকিও ছুঁতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আপনার জন্য রয়েছে বিরাট সুযোগ, পোস্ট অফিসের এই স্কিমে হাতে আসবে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা
গুহার শেষ কোথায়: স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, খাপরা আর কোডিও চুরি করে গুহাতেই লুকিয়ে পড়তেন। তাই এখানে বহু মুল্যবান সম্পদ রয়েছে। ‘গুপ্তধনের’ হদিশ পেতে অনেকেই এই গুহায় ঢুকেছেন। কিন্তু কিছুই মেলেনি। কৌতূহলের বশেও অনেকে গুহায় প্রবেশ করেছেন। কিন্তু শুধুই ভয় ধরানো অন্ধকার। বাইরে বেরনোর পথ খুঁজে পাননি কেউই।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, গুহাটি পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ। কিন্তু এখনও অবধি ২৫ থেকে ৩০ ফুট ভেতর পর্যন্ত যাওয়া গিয়েছে। এরপর যেতে গেলেই যেন দমবন্ধ হয়ে আসে। ভয়ে পালিয়ে এসেছেন অনেকেই। কয়েক বছর আগে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে আহমেদাবাদের একটি দল গুহার শেষ প্রান্ত খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল। ঢুকেছিল প্রায় দেড় কিলোমিটার। কিন্তু তারপর গা ছমছমে পরিবেশ দেখে ভয় পেয়ে যান সদস্যরা। পালিয়ে আসেন তাঁরাও। রহস্যময় এই গুহার শেষ প্রান্ত আজও অধরাই!