সংগঠন বলতে, ১৬ থেকে ২৫ বছরের কয়েকজন তরুণের প্রচেষ্টা। গত কয়েক বছর ধরেই তাঁরা কাজ করছেন পিছিয়ে পড়া বসতিবাসী শিশুদের নিয়ে। এই বছর ১২ নভেম্বর দীপাবলি পালিত হবে সারা দেশে। অশুভের বিরুদ্ধে শুভের জয়, অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলো—এটাই এই উৎসবের মূল। এই দিনে মানুষ নিজের জন্য, পরিবারের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনে থাকেন। বন্ধুদের জন্য উপহার দেওয়াও রীতি।
advertisement
বিহারের একটি স্পোর্টস ক্লাবের সদস্যরা দীপাবলি পালন করবেন দরিদ্র পরিবারের শিশুদের সঙ্গে। সংস্থার প্রধান ঋষিকেশ, নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ওদের মুখে হাসি ফোটাতেই আমরা এই দীপাবলির আয়োজন করছি। ওদের হাতে তুলে দেব মিষ্টি, নতুন জামা।’
আরও পড়ুন: সর্বনাশ…! দীপাবলিতে বাড়ি সাজাতে গিয়ে এই ‘ভুলগুলি’ করছেন না তো? বিদায় নেবেন মা লক্ষ্মী
সিটি তাইকোন্ডো ক্লাবের কোচ এবং জাতীয় স্তরের রেফারি জেপি মেহতা জানান, গত চার বছর ধরে এই ধরনের আয়োজন করছেন ক্লাবের সদস্যরা। সকলেরই বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পটনা শহরের কাছে আগম কুঁয়া বসতির শিশুদের নিয়েই পালন করা হবে দীপাবলি। জেপি মেহতা বলেন, ‘ওদের মধ্যে অনেক শিশুই আবার অনাথ। অনেকে থাকে রাস্তায়। এই দীপাবলির সময়টায় ওরা আমাদের পথ চেয়ে থাকে। আমরা খুব সামান্যই করতে পারি। তবু ওদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারার মধ্যে একটা আনন্দ আছে।’
প্রতি বছর বিহার ইউথ ফাউন্ডেশন প্রায় ৭০-৮০টি শিশুর জন্য মিষ্টি, জামা-কাপড়, আতশবাজির বন্দোবস্ত করে দীপাবলির সময়। জেপি মেহতা বলেন, ‘ছোটি দিওয়ালির দিন এই আয়োজন করা হয়। এবার সেটা ১০ নভেম্বর।
এখানে দীপাবলি পালিত হয় প্রায় ৫ দিন ধরে। উৎসব শুরু হয় ধনতেরসের দিন থেকে। অর্থাৎ, কৃষ্ণ ত্রয়োদশীতে। সেই উৎসব চলতে থাকে ভ্রাতৃ-দ্বিতীয়া পর্যন্ত। দক্ষিণ ভারতে দীপাবলি পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নরকাসুর বধের দিন হিসেবে।