পারিবারিক আদালতের নূরুন্নিসা খান গণমাধ্যমকে বলেন, এই দম্পতির বিয়ে হয় প্রায় পাঁচ বছর আগে। দু’জনেই বেসরকারি চাকুরিজীবি। গত দু’বছর তাঁরা আর একসঙ্গে থাকেন না। প্রথম দিকে স্ত্রী খুব বেশি শিক্ষিত ছিলেন না, কিন্তু স্বামী তাঁকে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি শিখিয়েছিলেন। এর পর তিনি ভোপালের কাছে একটি কারখানায় চাকরি পান। এখান থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে।
advertisement
স্বামীর অভিযোগ, চাকরি শুরু করার পর স্ত্রী এক সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। স্বামী যখন তাকেঁ এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখন স্ত্রী জবাবদিহিতে অস্বীকার করেন, ফলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। স্বামী বলেন, এই উত্তেজনার কারণে স্ত্রী প্রায় দুই বছর আগে তাঁকে ছেড়ে চলে যান এবং আলাদাভাবে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
এ হেন পরিস্থিতিতে স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। যদিও স্ত্রী বলছেন, তাঁর কারও সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তিনি তাঁর ওই পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে কাজের বিষয়েই কথা বলেন। স্ত্রীর দাবি, তিনি এখনও স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান।
কাউন্সেলর খান বলেন, ইদানীং বৈবাহিক জীবনে অবিশ্বাস ও সন্দেহের কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ইনদওরের ঘটনার পর এখন পুরুষরাও ভীত হয়ে পড়েছেন। খানের মতে, এখন অনেক পুরুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপোস করার পরিবর্তে বিবাহবিচ্ছেদকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।