ক্যাভিয়েট। পালটা ক্যাভিয়েট। টাটা সন্সের পালটা ক্যাভিয়েট আইনি লড়াইয়ের জল্পনা উসকে দিল। সাইরাসের দাবি, তিনি ক্যাভিয়েট করেননি। তবে আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা অস্বীকার করেনি সাপুরজি-পালনজি গোষ্ঠী। সবমিলিয়ে নজিরবিহীন টানাপোড়েন টাটা গোষ্ঠীর অন্দরে।
সুপ্রিম কোর্টের সূত্র জানাচ্ছে, টাটাদের তিনপক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ক্যাভিয়েট।
টাটা সন্স ছাড়াও রতন টাটা ও দোরাবজি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে সাইরাসের ক্যাভিয়েট অনেক কিছুরই ইঙ্গিত বলে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, টাটাদের ৩টি ট্রাস্টের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়াতেই টাটায় সাইরাসের বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়।
advertisement
অভিযোগের তীর দোরাবজি ট্রাস্ট, জামশেদজি ট্রাস্ট ও নাভাজভাই ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ৷ গত ২ বছরে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই টাটাদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৩,৯৫১ কোটির শেয়ার তুলে নেয় এই ট্রাস্ট, মেয়াদের আগে টাকা তোলা আটকাতে চেয়েছিলেন সাইরাস ৷ তারপরই ট্রাস্টের তরফে চাপ বাড়ে৷
সূত্রের খবর, সাইরাসকে সরানোর কাজ শুরু হয় ৪ মাস আগে। পদত্যাগের বার্তা নিয়ে সাইরাসের সাইরাসের সঙ্গে দেখা করেন পরিচলন পর্ষদের ওই সদস্য। ২৪ তারিখ পরিচলন পর্ষদের বৈঠক তাই ৫০ মিনিটের বেশি গড়ায়নি। এই টানাপোড়েনে সংস্থাকে সঠিক পথে আনতে অবশ্য প্রথমদিনেই ঝাঁপিয়েছেন অন্তবর্তী চেয়ারম্যান। সিইও-দের সঙ্গে বৈঠকে এব্যাপারে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করেন রতন টাটা। তিনি জানান,
‘টাটা গোষ্ঠীর লক্ষ্য ও দায়বদ্ধতায় কোনও আপস করা যাবে না। পদ নিয়ে আলোচনা ছেড়ে কোম্পানির কাজ করুন। আগামী ৫ বছরের পরিকল্পনা জমা দিন। সব কর্মীকে নিজের পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। সংস্থার আদর্শ ও লক্ষ্যে পরিবর্তন হয়নি। টাটাদের ইতিহাস তা বলে না।’
রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সাইরাস। সোমবার রতন টাটার দেওয়া চিঠির পালটা হিসাবেই এই চিঠি অপসারিত টাটা চেয়ারম্যানের।