কিন্তু প্রয়াগরাজের মাঘ মেলা থেকে দণ্ডী সাধুরা কী বলবেন, সেটা অনেকেই আঁচ করে উঠতে পারেননি। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে ধর্মগুরুর আখ্যা দিতে স্পষ্টতই নারাজ সাধু-সন্তদের দল। তাঁদের দাবি- শাস্ত্রীর কর্মকাণ্ড আদতে বুজরুকি ছাড়া আর কিছুই নয়। অতএব, বেশি দিন তা ধোপে টিকবে না।
আরও পড়ুন- আরেকটা মাস আসতে যা দেরি; শুক্রের গোচরে লাভবান হতে চলেছেন এই রাশির জাতক-জাতিকারা
advertisement
সন্তরা বরাবরই স্পষ্টবক্তা, ছলনার ধার-কাছ দিয়ে তাঁরা যান না। অতএব, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর ব্যাপারেও তাঁরা ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন বেশ ভাল ভাবেই। এই সন্তদের সাফ কথা- শাস্ত্রী সন্ন্যাসী তো কখনওই নন, এমনকী ধর্মীয় কোনও কিছু নিয়েও তাঁর কাজ নয়। তিনি যা করছেন, তাকে দণ্ডী সন্ন্যাসীরা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সাধুরা আর যা-ই হোক, এই সব করেন না, বলছেন মাঘ মেলায় আগত সন্ন্যাসীরা। সরাসরি তাঁরা শাস্ত্রীকে 'প্রতারক' আখ্যা দিয়েছেন। বলছেন- শাস্ত্রীর কাজ এবং আচরণ দুই ভারতীয় সন্তদের সম্মানহানির পক্ষে পর্যাপ্ত।
এই সাধুদের দাবি, সাধারণ মানুষ সিদ্ধ রূপে উপনীত হন একমাত্র তন্ত্র সাধনার দ্বারা। তা বড় কঠিন সাধনা, এর জন্য যাবতীয় ভোগ-সুখ ত্যাগ করতে হয়। তার পরেই বহু বছরের সাধনায় লব্ধ হয় মানুষের উপকার করার নিমিত্ত অলৌকিক ক্ষমতা। শাস্ত্রী তা করেননি, তাঁর জীবন বিলাসিতায় পূর্ণ, সঙ্গত কারণেই তাঁর ক্ষমতাও লোক ঠকানোর, তার চেয়ে বেশি কিছু নয়। তাই অবলম্বে শাস্ত্রীকে সংযত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন প্রয়াগরাজের সন্ন্যাসীরা। অন্যথায়, শাস্ত্রীর দশা যে আশারাম বাপু-নির্মল বাবার মতো হবে, তাও তাঁরা বলে দিয়েছেন রাখঢাক না করে।
ইতিপূর্বে নাগপুরের এক সংগঠনও শাস্ত্রীকে প্রতারকের তকমা দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। সন্ন্যাসীদের মতো এই সংগঠনেরও বক্তব্য ছিল যে তিনি অন্ধবিশ্বাসের প্রসার ঘটাচ্ছেন জনমানসে। ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও যেমন তাঁর সাম্প্রতিক বিবৃতিতে তুলে ধরেছেন সেই কথাই, বলছেন যে অলৌকিক ঘটনার নিত্য প্রদর্শন সন্তের কাজ হতে পারে না। অন্য দিকে, গিরিরাজ সিং, কপিল মিশ্রর মতো ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন শাস্ত্রীকে।