সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন অজিত পাওয়ার৷ জানিয়ে দেন, জোট এগোন আর সম্ভব নয়৷ কারণ, এনসিপি ভাঙানোর যে চেষ্টা বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে করতে চেয়েছিলেন অজিত পাওয়ার, তা সম্পূর্ণ মাঠে মারা গেল৷ সোমবার রাত পর্যন্ত বিজেপি দাবি করে এসেছে, তারাই সরকার গড়ছে মহারাষ্ট্রে৷ ১৭০ বিধায়ক রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে৷ কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের হোটেলে ১৬২ জন বিধায়ককে হাজির করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস,এনসিপি ও শিবসেনা জোট৷
advertisement
ইস্তফা দিয়ে শিবসেনা সম্পর্কে ফড়নবীশ বলেন, 'আমরা পরিষ্কার বলছি, শিবসেনাকে কোনও দিনই আমরা মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিইনি৷ শিবসেনা শিবসেনাই নিজেদের আসন সংখ্যা নিয়ে মানুষের কাছে খোরাক হচ্ছিল৷'
এরপরই জোটকে কটাক্ষ করে ফড়বীশ বলেন, 'তিন চাকায় অটো চলে৷ কিন্তু তিন চাকা যদি আলাদা দিকে চলে, কী হয় আমরা সবাই জানি৷ শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি জোট ঠিক তাই৷ শুধু বিজেপি-কে হঠাতে তিন দল জোট গড়েছে৷'
ট্যুইটারে কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপালের কটাক্ষ, 'এই জয় সংবিধানের জয়৷ ওরা ভেবেছিল, ঘোড়া কেনাবেচায় সব সমাধান হয়ে যাবে৷ এটা শুধু দেবেন্দ্র ফড়নবীশের হার নয়, দিল্লিতে বসে যিনি কলকাঠি নাড়ছিলেন, তাঁর গালেও থাপ্পড়৷'
গত ২৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ফড়নবীশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার৷