এনডিটিভি-তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে স্মোক ক্যান ফাটানো দুই অভিযুক্তের নাম সাগর শর্মা এবং ডি মনোরঞ্জন (৩৫)৷ আর এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সংসদ ভবনের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় নিলম (৪২) নামে এক মহিলা এবং অমল শিন্ডে (২৫) নামে এক যুবককে৷
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ জংশনস্টেশন বর্ধমান, সেখানেই জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে রক্তের বন্যা! ফের মারাত্মক দুর্ঘটনা
advertisement
এখনও পর্যন্ত এই চার জনের সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পুলিশ প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না৷ তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মনোরঞ্জন কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা৷ সেখানকার একটি কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র সে৷ এর পাশাপাশি চারজন ধৃতের মধ্যে একজনের বাড়ি হরিয়ানার হিসারে বলেও জানা গিয়েছে৷
দিল্লি পুলিশের অ্যান্টি টেরর সেল এই চারজনকে গ্রেফতার করেংছে৷ ঘটনার পরই দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় অরোরা সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা সংসদ ভবনে পৌঁছন৷
এ দিন বেলা ১.০২ মিনিটে লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দর্শকদের জন্য নির্দিষ্ট গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে লাফ মারে এক যুবক৷ দ্বিতীয় জন অবশ্য গ্যালারিতেই ছিলেন৷ অধিবেশন কক্ষে লাফ মারার পর সাংসদদের বসার জায়গার সঙ্গে রাখা টেবিলের উপর দিয়ে দৌড়তে শুরু করে ওই যুবক৷ অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই স্মোক ক্যান থেকে হলুদ রংয়ের ধোয়া ছড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকে তারা৷ এই ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে সংসদ ভবনের বাইরে একই ভাবে হলুদ রংয়ের ধোঁয়া ছড়িয়ে একনায়কতন্ত্র বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় এক মহিলা এবং এক যুবককে৷ তাঁদেরও আটক করে পুলিশ৷
এই ঘটনায় ফের একবার সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷ প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অফিস থেকে দেওয়া লোকসভায় ঢোকার পাস উদ্ধার করা হয়েছে৷ সংসদ ভবনে জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে এই ঘটনা ঘটলেও এর সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ নেই বলেই দাবি করেছে পুলিশ৷