আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! রোপওয়ে দুর্ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পার, এখনও মাঝ আকাশে ঝুলে মানুষ! দেখুন ছবি
পরিবারের ছয় সদস্যের সঙ্গে আটকে পড়া একজন পর্যটক জানান পানীয় জল ফুরিয়ে গিয়েছিল। তেষ্টা মেটাতে বাধ্য হয়ে জলের বোতলেই মূত্রত্যাগ করে পান করতে বাধ্য হন তাঁরা। উদ্ধার হওয়া আরেকজন একজন মহিলা তাঁর সহযাত্রীকে বাঁচানো যায়নি বলে যন্ত্রণায় কেঁপে ওঠেন, সেই রাতের কথা স্মরণ করতে গিয়ে ভেঙে পড়েন তিনি। আইএএফকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি জানান আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে না ছিল খাবার, না ছিল পানীয় জল। বাঁচার সব আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।
advertisement
আটকে থাকা একটি ট্রলি থেকে যাত্রী সন্দীপকে উদ্ধার করে সিআইএসএফ। তিনি জানান, ঘটনাটি ঘটেছে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ। ট্রলিতে লেখা জরুরি নম্বরে ফোন করলে তখন কর্তৃপক্ষ জানায় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটেছে এবং তাড়াতাড়িই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
তিনি জানান, পর্যটকরা সারা রাত্রি উদ্ধারের আশায় প্রার্থনা করে কাটিয়েছেন। যদিও রোপওয়ের উচ্চতা এবং সন্ধ্যে নামার পর থেকে অন্ধকারের কারণে রাতে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধারের সম্ভাবনা কম ছিল।
পর্যটক অনিল, CNN-News18 কে জানান, প্রশাসন তাঁদের জল এবং খাবার দিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য IAF কে ধন্যবাদও জানান অনিল। “আমরা বেঁচে রইব কী না তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। কিন্তু আইএএফ আমাদের উদ্ধার করেছে। আমরা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে করে আমাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে হাহাকার! শ্রীলঙ্কায় নেই জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অস্ত্রোপচারও
রোপওয়েতে আটকে থাকা আরেক যাত্রী সুশীলা দেবী অবশ্য জানান, তাঁরা আটকে থাকা অবস্থায় জলও পাননি। “রবিবার বিকেল ৪ টে থেকে আমরা আটকে ছিলাম এবং আইএএফ দড়ি দিয়ে আমাদের নামাচ্ছিল। আমরা দড়ি বেয়ে নিচে নামতে ভয়ই পাচ্ছিলাম কিন্তু উপায় ছিল না।”
ত্রিকূট রোপওয়ে সর্বোচ্চ উল্লম্ব রোপওয়েগুলির মধ্যে একটি। বাবা বৈদ্যনাথ মন্দির থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে নির্মিত এই রোপওয়ে প্রায় ৭৬৬ মিটার দীর্ঘ। ত্রিকূট পাহাড়ের উচ্চতা ৩৯২ মিটার। রোপওয়েতে ২৫ টি কেবিন রয়েছে এবং প্রতিটিতে চারজন করে বসতে পারেন।
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে অনুমান, যদিও সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। দুর্ঘটনার পর থেকেই রোপওয়ে ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।