মেডিক্যাল কলেজের কর্মী-আবাসনের সি-ব্লকে থাকেন সমীর মল্লিক। তাঁর পরিবারের তিন জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত। সমীরবাবু জানান, বিল্ডিংয়ের সামনে-পিছনে সমস্ত জায়গায় নোংরা ছড়িয়ে এবং জলও জমে রয়েছে। যার ফলে গোটা পরিবেশটাই মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে৷ বর্তমানে প্রত্যেকটি বিল্ডিংয়েই ১০-১৫ জন মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত।
সমীরবাবুর উল্টোদিকের ফ্ল্যাটেও বেশ কয়েকজনের জ্বর। তাঁরা রক্ত পরীক্ষা করাতে দিয়েছেন বলে জানালেন। বি-ব্লকের রামেশ্বর প্রসাদের ডেঙ্গি হয়েছে। তিনি অসুস্থ অবস্থায় এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে, রিনা কুমারী (১৮) তিনিও মঙ্গলবার সকাল থেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: পিয়ানো বাজালেন মমতা! বাণিজ্য বৈঠকের মাঝেই স্পেনে এবার রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর, রইল সেই ভিডিও
এই নিয়ে দড়ি টানাটানি বাড়ার পরেই অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গত সোমবার সকাল থেকেই বিষয়টি নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে যায়। কর্পোরেশন থেকে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা আবাসনে এসে ঘুরে যান। সঙ্গে মশার লার্ভা নষ্ট করার ওষুধও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়লা, নোংরা এবং জমা জল আবাসনে রয়েই গিয়েছে।
কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য দফতরের মেডিক্যাল অফিসার এ নিয়ে আঙুল তুলেছেন কর্পোরেশনের জঞ্জাল বিভাগের দিকে৷ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারীর দিকেও ‘দোষী’ ঠাওরান তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘একমাস আগে সুপারকে জানিয়েছিলাম পিডব্লিউডি’তে চিঠি দেওয়ার জন্য। সেই চিঠি না করার ফলেই এই ধরনের পরিস্থিত তৈরি হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: পিয়ানোয় বাজালেন ‘ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে’, স্পেনে এবার রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর তুললেন মমতা!
ওই আবাসনে চারটি ব্লক মিলে এক হাজারের বেশি মানুষ থাকে। সেই মানুষগুলো রীতিমতো ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার ভয়ে কাবু। তাঁদের দাবি, জল এবং জঞ্জাল না সরানো পর্যন্ত মশা থাকবে এবং মশা বাহিত রোগও হবে। তবে মেডিকেল সুপার অঞ্জন অধিকারী জানান, ‘‘হাসপাতালের রাস্তাঘাট প্রত্যেকটি কলকাতা কর্পোরেশনের দেখভালের দায়িত্ব। জঞ্জাল থেকে আরম্ভ করে নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। এগুলি প্রতিদিন পরিষ্কারের প্রয়োজন।’’