ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে নিজেকে মার্চেন্ট নেভি অফিসার বলে পরিচয় দেয় ওই প্রদীপ কুমার ঠাকুর নামের ওই ব্যক্তি। জানায়, তিনি সুইডেনের বাসিন্দা। দিল্লির প্রতাপ নগরের বাসিন্দা ৩২ বছরের ওই তরুণী জানান, তিনি সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের মাধ্যমে পরিচিত হন।
আরও পড়ুন: কখন ছেড়ে গিয়েছে ট্রেন, ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? পরের স্টেশনে নামলেই জরিমানা? রেলের নিয়ম জানেন কি
advertisement
প্রদীপ কুমার নামের ওই ব্যক্তি যুবতীকে তাঁর ভারতে ফিরে আসার ইচ্ছে জানায়। জনপ্রিয় একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি তরুণীকে জানান তিনি দিল্লিতে বসবাস করতে চান। ওই তরুণীর কথায়,‘‘ ঠাকুর আমায় বলেন উনি পাকাপাকি ভাবে ভারতে ফিরে আসতে চান। উনার মা এবং ৫ বছরের শিশুকন্যার সঙ্গে থাকতে চান। আমি কোথায় কাজ করি, তাও জানতে চেয়েছিলেন। এরপর আমাদের মধ্যে ফোন নম্বরের আদান প্রদান হয়। হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা শুরু হয়।’’
যুবতী জানান, অক্টোবরের ১৬ তে তাঁকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন প্রদীপ। প্রদীপ জানান, তিনি মুম্বইয়ের কাস্টমস ডিপার্টমেন্টে আটকা পড়েছেন। পাশাপাশি কাস্টম অফিসিয়াল সেজে অন্য এক মহিলাও ফোন করেন। তিনিও একই কথা বলেন।
ভুয়ো অফিসার সেজে ফোন করা ওই মহিলা বলেন, প্রদীপ ২ কোটি টাকা নিয়ে যাতায়াত করছেন। যা আইনের বিরুদ্ধ। আটকে পড়া প্রদীপকে ওই অবস্থা থেকে মুক্ত করচে ৬ লক্ষ টাকা পাঠান দিল্লির যুবতী। পরে তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ওই ভুয়ো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।